পার্লামেন্টে আদিবাসী মাউরি সম্প্রদায় থেকে নির্বাচিত এমপি রাওউরি ওয়াইতিতি। ছবি-ইন্টারনেট

টাই না পরার কারণে একজন আইনপ্রণেতা সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি। প্রশ্ন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন। এক সময় তাকে পার্লামেন্ট থেকে বের করে দিয়েছেন স্পিকার। ঘটনাটি নিউজিল্যান্ডের। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির।

বিবিসি লিখেছে, নিউজিল্যান্ডের এমপিরা টাই না পরলে পার্লামেন্টে কোনো প্রশ্ন করতে পারেন না। তাই টাই না পরে সংসদে প্রবেশের পর প্রশ্ন করতে গেলে নিউজিল্যান্ডের স্পিকার ট্রেভর মাল্লার্ড ওই এমপিকে বাধা দেন।

রাওউরি ওয়াইতিতি নামের ওই এমপি আদিবাসী মাউরি সম্প্রদায়ের মানুষ। টাই না পরে নিজ সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ‘সবুজ পাথরের নেকলেস’ পরে আসায় স্পিকারের সঙ্গে দুইবার উতপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয় তার।        

সংসদ থেকে বের হওয়ার পথে ওয়াইতিতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা টাই সংক্রান্ত কোনো বিষয় নয়। এটা প্রকৃতপক্ষে সাংস্কৃতিক পরিচয়ের বিষয়।‘ তিনি টাইকে ‘ঔপনিবেশিক গলার কাঁটা’ হিসেবে অভিহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডানকে ঐতিহ্যবাহী মাউরি রীতিতে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন ওয়াতিতি। ছবি-গেটি ইমেজেস

তবে সহেজেই প্রশ্ন করা থেকে দমে যাননি ওয়াইতিতি। দ্বিতীয় দফায় স্পিকার তাকে বাধা দেওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রশ্ন করতে থাকেন। এমন সময় স্পিকার মাল্লার্ড তাকে সংসদকক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। 

ওয়াইতিতি তার সঙ্গে স্পিকারের এমন আচরণকে ‘একেবারে অযৌক্তিক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। অবশ্য নারী এমপিদের টাই বাধ্যতামূলক না হলেও মাউরি পার্টির নেতা নাগেরেভা-প্যাকার গলায় ঠিকই টাই ছিল।
 
টাই নিয়ে স্পিকারে ও এমপির এমন বিতণ্ডার ঘটনা অবশ্য এটা প্রথম নয়। গত বছরের শেষদিকে ওয়াইতিতিকে সতর্ক করে স্পিকার বাল্লার্ড বলেছিলেন, টাই পরে না আসলে তাকে তিনি সভাকক্ষ থেকে বের করে দেবেন। 

স্পিকার মাল্লার্ড অবশ্য বলছেন, বাধ্যতামূলক টাই পরার বিষয়টির পরিবর্তন তিনিও চান। কিন্তু এমপিদের সঙ্গে আলোচনা করে এই নিয়ম তাকে বলবৎ রাখতে হয়েছে। কারণ বেশিরভাগ এমপি টাই বাধ্যতামূলক রাখার পক্ষে। 

প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছিলেন, ‘কেউ টাই পরতে না চাইলে তাতে আপত্তি নেই। তবে আরও বড় বিষয়গুলোতে সবার মনোনিবেশ করা উচিত। আমি মনে করি না নিউজিল্যান্ডের মানুষ টাই নিয়ে অতটা ভাবে।’

এএস