মেডিক্যাল বক্স নিয়ে যাচ্ছেন চীনের উহানের স্বাস্থ্যকর্মীরা

মহামারির উৎস অনুসন্ধানে চীনে যাওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বাধীন তদন্ত দলকে করোনাভাইরাসের শুরুর দিকের অপরিমার্জিত তথ্য-উপাত্ত দিতে অস্বীকার করেছে দেশটি। যে কারণে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কীভাবে শুরু হয়েছিল তা বোঝার সম্ভাব্য প্রচেষ্টা জটিল হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ওই দলের একজন তদন্তকারী।

জাতিসংঘের তদন্ত দলের অস্ট্রেলীয় সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডোমিনিক ডায়ার বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে চীনের উহান শহরে করোনা শনাক্ত হওয়া ১৭৪ জন এবং অন্যান্যদের অপরিমার্জিত তথ্য-উপাত্ত জাতিসংঘের তদন্ত দল চাইলেও কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র তাদের সারসংক্ষেপ সরবরাহ করে। 

তিনি বলেন, এ ধরনের অপরিমার্জিত তথ্য-উপাত্তকে লাইন লিস্টিং বলা হয়। সাধারণত বেনামে এসব তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করে রাখা হয়; যেখানে ভিন্ন ভিন্ন রোগীকে কি ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছিল এবং তাদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল সেসবের বিশ্লেষণ থাকে।

সিডনিতে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ শনিবার ভিডিও কলের মাধ্যমে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, যেকোনও প্রাদুর্ভাবের তদন্তের ক্ষেত্রে এটিই মানসম্মত চর্চা। 

তিনি বলেন, উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া ১৭৪ জনের মধ্যে অর্ধেকের হুনান মার্কেটে; তাদের ব্যাপারে অপরিমার্জিত তথ্য-উপাত্ত পাওয়াটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং উহানের এই মার্কেটে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। যে কারণে আমরা অনবরত এই তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সেটি কেন দেওয়া হলো না, সেব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারবো না। এটি কি রাজনৈতিক নাকি সময়সাপেক্ষ নাকি কঠিন...। এসব ডাটা না পাওয়ার পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা; তা আমি জানি না। এটি শুধুমাত্র ধারণা।

তদন্ত দলের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সারাংশ আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

চীনা কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু সরবরাহ করেছে জানিয়ে জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ বলেন, তদন্ত দলের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে রোগীদের অপরিমার্জিত ডাটা না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হবে। আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরে করোনাভাইরাসের ব্যাপারে চীনের কাছ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা অনেক বেশি তথ্য-উপাত্ত পেয়েছেন। এটিও এক ধরনের অগ্রগতি বলে মনে করেন তিনি।

সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।

এসএস