আফগানিস্তানে বোমা হামলায় ৪ নিরাপত্তাকর্মী নিহত
জালালাবাদে দুর্ঘটনাস্থলের পাশে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা
আফগানিস্তানে পৃথক বোমা হামলায় এক কমান্ডারসহ নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
শনিবার আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি তল্লাশি চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত চার নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরও সাতজন। কান্দাহার পুলিশের মুখপাত্র শনিবার জানান, হামলায় সন্ত্রাসীরা বিস্ফোরকভর্তি একটি গাড়ি ব্যবহার করে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে শুক্রবার রাতে কান্দাহার প্রদেশের আর্গান্দাব এলাকায় আফগান সামরিক বাহিনীর অভিযানে অন্তত ১৮ তালেবান বিদ্রোহী নিহত এবং নয়জন আহত হয় বলে জানায় আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপরই শনিবার ওই প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি তল্লাশি চৌকিতে হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদের একটি রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে অন্তত তিনজন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন। তবে এসব হামলার কোনোটির দায় এখনও কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। অবশ্য এ ধরনের হামলার জন্য সাধারণত তালেবান বিদ্রোহীদের দায়ী করে থাকে আফগান সরকার।
বিজ্ঞাপন
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে আফগানিস্তানে তালেবান বিদ্রোহী ও সরকারপন্থী সশস্ত্র মিলিশিয়াদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন সরকারপন্থী মিলিশিয়া সদস্য এবং ১০ জন তালেবান যোদ্ধা ছিলেন।
এছাড়া গত ৩ ফেব্রুয়ারি জালালাবাদে এক বিচারককে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত ওই বিচারকের নাম হাফিজুল্লাহ। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি আদালতে যাওয়ার পথে রাজধানী কাবুলে ২ আফগান নারী বিচারককে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। নিহত দুই জনই ছিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারক।
সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে রক্তক্ষয়ী হামলার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এজন্য তালেবানকে দায়ী করে আসছে দেশটির প্রশাসন। সম্প্রতি দেশটির গোয়েন্দা প্রধানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ১৮ হাজারের বেশি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এসব হামলা বা হত্যার বেশিরভাগের দায় কোনো জঙ্গি সংগঠনই স্বীকার করেনি। তবে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিরোধীপক্ষ সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানকে দায়ী করে থাকেন। অবশ্য তালেবান এসব হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় বলে এর আগে বার্তাসংস্থা এপির কাছে দাবি করেছিলেন গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।
সূত্র: আলজাজিরা
টিএম