২০০৯ সালের পর গেল বছর দেশটির অর্থনীতি প্রথমবার সংকুচিত হয়েছে

২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে অর্থনীতির আকার বাড়লেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এড়াতে পারেনি জাপান। তাইতো ২০০৯ সালের পর গেল বছর দেশটির অর্থনীতি প্রথমবার সংকুচিত হয়েছে। মহামারির প্রকোপে সব স্থবির হয়ে পড়ায় গত বছর জাপানের অর্থনীতিতে এই সংকোচনের হার ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির।

২০১৯ সালের তুলনায় গেল বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ জাপানের অর্থনীতির আকার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বেড়েছে। ২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ শতাংশ। 

তবে আগের প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি ছিল কম। এর আগের প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশটির অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। পরের প্রান্তিকে তা কমে যায়। 

গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটি বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। 

মহামারি করোনার প্রকোপে ভোক্তা ব্যয় ও রপ্তানি কমে যাওয়ায় তার আগের অর্থাৎ ওই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির অর্থনীতি বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। 

তবে গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে জাপানের অর্থনীতির দুই চালিকাশক্তি ভোক্তা ব্যয় ও রপ্তানি দুটোই বেড়েছে। এতে করে দেশটির অর্থনীতির পুনরুদ্ধার কার্যক্রম কিছুটা হলেও গতি পেয়েছে। কমানো গেছে সংকোচনের হার।  

জাপানের অর্থনীতির অর্ধেকের বেশির অংশীদার ব্যক্তিগত ভোক্তাব্যয়ে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে এই খাতে ২ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও আগের প্রান্তিকে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ।     

বিবিসি লিখেছে, গত বছরের তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কিছুটা শক্তিশালী হওয়ার প্রভাব পড়েছে জাপানের অর্থনীতিতে। এই সময়ে দেশটির রপ্তানির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেড়েছে।   

এএস