গত বছর কুয়েতে চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়েছেন ৪ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ। বর্তমানে দেশটিতে যে পরিমাণ কর্মহীন মানুষ রয়েছেন, তা গত ৩০ বছরে সর্বোচ্চ।

মঙ্গলবার কুয়েতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ‘ন্যাশনাল ব্যাংক অব কুয়েত’ তার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি খাতের তুলনায় দেশটির বেসরকারিখাতে চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়েছে অনেক বেশি। সরকারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে থাকায় এ সংকটের আঁচ পাননি দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতবছর দেশটির অর্থনীতিতে যে ২ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি যোগ হয়েছে তার মূল অবদান সরকারি খাতগুলোর।     

এছাড়া ২০২০ সালে দেশটির জনসংখ্যাও ৫ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। জনসংখ্যা হ্রাসের এই রেকর্ডও গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

দেশটির বেসরকারি খাতে যেসব বিদেশী বিশেষজ্ঞ চাকরি করতেন- তাদের একটি বড় সংখ্যাই মহামারির বছর কুয়েত ত্যাগ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার বিদেশী চাকরিজীবী কুয়েত ছেড়ে চলে গেছেন। বর্তমানে দেশটিতে যতসংখ্যক মানুষ রয়েছেন, তার এক-তৃতীয়াংশের বয়স ১৫ বছরের নিচে।

এই বিপুল সংখ্যক বিদেশী কর্মীদের কুয়েত ত্যাগের কারণ হিসেবে ন্যাশনাল ব্যাংক অব কুয়েত বলেছে, আবাসন আইনের পরিবর্তন, জাতীয়তাবাদী নীতির অব্যাহত প্রয়োগ এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোর চাকরি ছাঁটাইয়ের কারণেই তারা চলে গেছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে কুয়েত অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি এবং এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম পড়ে যাওয়ার ফলেই সৃষ্ট হয়েছে এই সংকট। দেশটির মোট সরকারি রাজস্বের ৯০ শতাংশই আসে পেট্রোলিয়াম থেকে।

সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর

এসএমডব্লিউ