অবশেষে বিচ্ছেদের বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাল ব্রিটেন-ইইউ
দীর্ঘদিনের আলোচনা আর নানা নাটকীয়তা ও দর কষাকষির অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদের ব্রেক্সিট বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে ব্রিটেন। বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এই চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্য হারানোর পর বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্লক ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময়ের মাত্র সাতদিন আগে চুক্তিতে পৌঁছানোর মাধ্যমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক এক পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে বলেছেন, চুক্তি সম্পন্ন।
বিজ্ঞাপন
চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্র বলেছে, আমাদের অর্থ, সীমান্ত, আইন, বাণিজ্য এবং মাছ ধরার জলে আমরা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছি।
ওই সূত্র বলছে, যুক্তরাজ্যের প্রত্যেকটি প্রান্তের সব পরিবার এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য চুক্তির এই খবর বেশ রোমাঞ্চকর। কোটামুক্ত এবং শূন্য শুল্কের ভিত্তিতে আমরা প্রথমবারের মতো অবাধ বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি।
বিজ্ঞাপন
‘চরম চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি এবং রেকর্ড সময়ের মধ্যে আমরা পুরো যুক্তরাজ্যের জন্য এই মহান চুক্তি সম্পন্ন করেছি; যা আমাদের অভ্যন্তরীণ বাজার এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের অখণ্ডতার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।’
গত ২০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বহুল আলোচিত একটি বিল পাস হয়। এই বিলের পক্ষে পার্লামেন্টে ভোট দেন ৩৫৮ জন ব্রিটিশ এমপি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩৪টি।
চার দশকের বেশি সময় ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার পর ২০১৬ সালের ২৩ জুন ব্রেক্সিট ইস্যুতে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এই গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যের থাকা উচিত কিনা প্রশ্ন জুড়ে মতামত জানাতে বলা হয়। এতে ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে। অন্যদিকে থাকার পক্ষে ছিল বাকি ৪৮ শতাংশ। কিন্তু সেই ভোটের ফলাফলের সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক্সিট কার্যকর হয়নি। আগামী ৩১ জানুয়ারি এই বিচ্ছেদ কার্যকর হবে।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস