সরবরাহে বিলম্ব করায় করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াকে (এসআইআই) আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে এর উদ্ভাবক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়াতে সিরাম ইনস্টিটিউট প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালা মন্তব্য করার একদিন পর বুধবার এই আইনি নোটিশ পেল।

মঙ্গলবার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে আদর পুনাওয়ালা বলেছিলেন, অন্যান্য দেশে কোভিশিল্ডের বড় ধরনের চালান সরবরাহ স্থগিত করছে সরকার। যে কারণে তাদের কাছে ভ্যাকসিনের চালান সরবরাহে বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদেশে এই ভ্যাকসিন অনেক উচ্চ দামেও বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে এই ভ্যাকসিনের দরকার এবং আমরা সেই মুহূর্তে ভারতের চাহিদাকেও প্রাধান্য দিচ্ছি। আমরা এখনো প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে— যাদের এই ভ্যাকসিন দরকার; তাদের সরবরাহ করতে পারছি না।

গত সপ্তাহে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, ভ্যাকসিন রফতানিতে কোনো ধরনের সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা নেই। অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের এই টিকা প্রত্যেক মাসে প্রায় ছয় থেকে সাড়ে ছয় কোটি ডোজ উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। 

সেরাম এখন পর্যন্ত ভারত সরকারকে ১০ কোটি ডোজ দিয়েছে এবং বিদেশে রফতানি করেছে ৬ কোটি ডোজ।

বিশ্বজুড়ে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আগামী জুনের মধ্যে আরো ৩ হাজার কোটি রুপি দরকার বলে জানান আদরপুনাওয়ালা। ভারতে বর্তমানে দৈনিক ২০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড উৎপাদন করছে সেরাম। পাশাপাশি দেশটিতে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি ডোজ টিকা ১৫০ রুপিতে বিক্রি করছে পুনের এই প্রতিষ্ঠান।

আদরপুনাওয়ালা বলেন, আমরা ভারতে প্রায় ১৫০ থেকে ১৬০ রুপিতে ভ্যাকসিনটি সরবরাহ করছি। কিন্তু এটির গড় মূল্য ২০ ডলারের মতো। নরেন্দ্র মোদির সরকারের অনুরোধে আমরা ভর্তুকি দিয়ে এই টিকা সরবরাহ করছি। আমরা যে লাভ করছি না বিষয়টি তেমন নয়... তবে আমরা অতি লাভ করছি না; যা পুনর্বিনিয়োগের প্রধান চাবিকাঠি।

এসএস