সৌদির প্রখ্যাত নারী মানবাধিকার কর্মীর কারাদণ্ড
সৌদি আরবের রাজপরিবারের সমালোচক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা পাল্টে দেয়ার স্বপ্ন দেখা প্রখ্যাত নারী মানবাধিকার কর্মী হাথলোলকে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। দুই বছর আগে গ্রেফতার হওয়া এই নারী মানবাধিকার কর্মীকে সোমবার পাঁচ বছর ৮ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ এনে ৩১ বছর বয়সী মানবাধিকার কর্মী হাথলোলকে ২০১৮ সালে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় দেশটির আরও কমপক্ষে এক ডজন নারী মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করে সৌদি পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, প্রখ্যাত এই মানবাধিকার কর্মীর বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সমালোচনা করে এলেও তাতে পাত্তা না দিয়ে এই দণ্ডাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সমালোচনার মুখে ফেলতে পারে রিয়াদকে।
বিজ্ঞাপন
মানবাধিকার কর্মী হাথলোলের কারাদণ্ডের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
রয়টার্স
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ব্যবস্থা পাল্টে দিতে চান হাথলোল। এর মাধ্যমে তিনি দেশের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করছেন। ২০১৮ সালের ১৫ মে গ্রেফতার হওয়ায় হাথলোলের সাজা দুই বছর ১০ মাস স্থগিত করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এই মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন।
জাতিসংঘের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ তার মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
দুই বছর আগে নারীদের গাড়ি চালানো ও স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়ার ওপর দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন সৌদি আরবের সংস্কারকামী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগে এবং পরে দেশটির বেশ কয়েকজন নারী মানবাধিকার কর্মীকে আটক করা হয়।
সেই সময় দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে দেশজুড়ে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে সৌদি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।
এসএস