ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন - প্রতীকী ছবি

জার্মানিতে কেয়ার হোমের আট জন কর্মীকে ভুলক্রমে পাঁচবার ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদের বয়স ৩৮ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ এবং সাতজন নারী। 

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরপমার্ন-রুয়েজেন জেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্ট্রালসুন্ডে এ ঘটনা ঘটে। জেলা প্রধান স্টিফান কারথ সোমবার এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। 

তিনি বলেন, আমি গভীরভাবে দুঃখিত। ভুলক্রমে এ ঘটনা ঘটেছে। তাদেরকে দ্রুত বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীদের যেন গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হয় সেই কামনা করছি। 

জেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিক পরীক্ষামূলক প্রয়োগে বায়োএনটেক উচ্চমাত্রার ডোজ দিয়েছে। তবে এতে এখনও কারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। 

এদিকে জার্মানিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি শুরুতেই সমস্যায় পড়েছে। ভ্যাকসিন ঠান্ডা ও কার্যকর রাখতে এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফাইজার-বায়োনটেক। এর সাহায্যে ভ্যাকসিন কুলবক্সে রাখার আগ পর্যন্ত মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হয়। আলট্রা-লো টেম্পারেচার থেকে বের করার পর ভ্যাকসিন দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এতে ভ্যাকসিন অন্তত ৫ দিন কার্যকর থাকে। 

কিন্তু বাভারিয়ার লিশ্টেনফেলস জেলা কর্তৃপক্ষ একটা কুলবক্সের ভ্যাকসিন পেয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। এতে অন্তত এক হাজার ডোজ টিকা কার্যকারীতা হারানোর ঝুঁকিতে। বাভারিয়ার কোবুর্গ, ক্রোনাখ, কুল্মবাখ, হফ, বায়রয়েথ এবং ভুনজিডেল জেলা কর্তৃপক্ষও ভ্যাকসিন নিয়ে এখন একই সমস্যায় আছে। 

এর আগে এক বিবৃতিতে বায়োএনটেক জানিয়েছিল, জার্মানির নির্ধারিত ২৫টি স্থানে ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার দাযিত্ব তাদের। পৌঁছানোর পর সংরক্ষণ ও ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের। 

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত জার্মানিতে করোনায় মারা গেছেন ৩০ হাজার ২৯৭ জন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে। 

সূত্র: ডিডব্লিউ

এইচকে