টিকাদান কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছে ভারতে। নতুন বছরের শুরুতে করোনার টিকাদান শুরুর আগে ভারতে শুরু হয়েছে টিকা দেওয়ার মহড়া বা ‘ড্রাই রান’। সোমবার দেশটির চার রাজ্যে দুই দিনের জন্য এ মহড়া শুরু হয়। 

টিকা সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকা নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে কি না; টিকার পরিবহনে ‘কোল্ড চেইন’ কাজ করছে কিনা; সর্বোপরি গোটা ব্যবস্থা ঠিকমতো কার্যর কিনা তা দেখা হচ্ছে।

অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা ছাড়াও ভারতে এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ‘ভারত বায়োটেক’ এবং ফাইজার ও বায়োএনটেক। অনুমোদনের আবেদনও করেছে তারা। এখন শুধু চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।

তার আগে সোমবার সকালে ভারতের চার রাজ্য; অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, আসাম ও পাঞ্জাবে টিকাদানের সব রকম প্রস্তুতি ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখার কাজ শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

‘ড্রাই রান’ মানে শুধু টিকাটা দেওয়া হচ্ছে না। বাকি সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টিকা যারা দেবেন, তারা কতটা প্রস্তুত; যে কোল্ড স্টোরেজে টিকা রাখা হবে তার অবস্থা কেমন, সেখান থেকে টিকা দেওয়ার কেন্দ্রে কীভাবে তা যাবে তার ব্যবস্থা; কীভাবে টিকা দেওয়া হবে; কাদের দেওয়া হবে; সব দেখে নেওয়া হচ্ছে। 

মোদ্দাকথা টিকাদান কর্মসূচি শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কোনো ফাঁকফোকর আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে করে টিকা দেওয়া শুরুর পর সংশ্লিষ্টদের কোনো রকমের বিপত্তির মধ্যে পড়তে না হয়। 

এখন পর্যন্ত ভারত সরকারের দেওয়া ইঙ্গিত অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারতে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। কাদের কখন টিকা দেওয়া হবে, সেই তালিকাও তৈরি হয়েছে। 

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দুই হাজার ৩৬টি প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে, সাত হাজার পেশাদারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। 

এএস