২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন জো বাইডেন

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর চরম ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, তার দল প্রতিরক্ষা বিভাগসহ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোর নিকট থেকে প্রয়োজনীয় কোনো তথ্য পাচ্ছে না।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার সময় বাইডেন এমন মন্তব্য করেন বলে মঙ্গলবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন জো বাইডেন। তবে এখন পর্যন্ত গত ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের ফল মেনে নেননি ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন নির্বাচনের মাসখানেক পর বাইডেনকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ আটকে দেওয়া হয়েছে। অথচ প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তরের অংশ হিসেবেই এসব তথ্য পাওয়ার কথা জো বাইডেনের।

বাইডেনের এমন অভিযোগের পর যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার বলেন, ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য পেশাদারিত্বের সঙ্গেই কাজ করার চেষ্টা করছেন কর্মকর্তারা।

তিনি আরও বলেন, বাইডেন শিবিরের চার শতাধিক কর্মকর্তার সাথে ১৬৪ বার বৈঠক করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। বৈঠকে বাইডেন শিবিরকে পাঁচ হাজারেরও বেশি পৃষ্ঠার দলিলপত্র দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাইডেনের টিম যেসব তথ্য পেতে অনুরোধ জানিয়েছিল, তার থেকেও বেশি তথ্য তাদেরকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যেমে উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে জো বাইডেন অভিযোগ করেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাজেট ও ব্যবস্থাপনা দফতর থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে তার দল।

বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আমরা বিদায়ী প্রশাসনের নিকট থেকে পাচ্ছি না। আমার দৃষ্টিতে এটা দায়িত্বহীনতা

জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বের কোথায় কোথায় মার্কিন সামরিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে সে বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য আমার উপদেষ্টাদের দরকার। এই তথ্য পেলে তাদের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর হবে।

বাইডেন বলেন, মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ব্যাপক ক্ষতি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বেশিরভাগ সংস্থা থেকে যোগ্য ব্যক্তি, দক্ষতা ও নৈতিকতাকে ছাটাই করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই নীতির কারণে এই সংস্থাগুলো থেকে অনেকেই চলে গেছেন বা তাদেরকে আলাদা করে রাখা হয়েছে।

গত নভেম্বরের নির্বাচনের পরপরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বর্ণ-বিদ্বেষবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী মোতায়েন ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করা তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানানো হয়েছিল।

দক্ষ ও যোগ্যদের সরিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রাম্প তার অনুগতদের বসানোর কারণে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, বিদায়ী প্রশাসনের শেষ সপ্তাহগুলোতে বিশৃঙ্খলা উস্কে দিতেই ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

টিএম