চীনে প্রবেশের অনুমতি না পেয়ে হতাশ ডব্লিউএইচও
চীনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) করোনাভাইরাস বিশেষজ্ঞদের। করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চীনে হয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করতে দেশটিতে যাওয়ার কথা থাকলেও সংস্থাটির বিশেষজ্ঞদের সেই অনুমতি দেয়নি বেইজিং।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) জেনেভায় এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রাস আধানাম এই তথ্য জানান। এসময় চীনের ভূমিকায় হতাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
টেড্রাস আধানাম জানান, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চীনে হয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করতে আমাদের যাওয়ার কথা থাকলেও প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে বেইজিং।
তবে প্রতিনিধি দলের দুই বিশেষজ্ঞ ইতোমধ্যেই তাদের নিজ নিজ দেশ থেকে চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বেইজিং অনুমতি না দিলে, ওই দু'জনকেও ফিরে আসতে হবে বলেও জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
ডব্লিউএইচও প্রধানের ভাষ্য অনুযায়ী, চীনা সরকারের সঙ্গে কথা বলেই করোনাভাইরাস বিশেষজ্ঞদের সফরের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এমনকি সফরের প্রস্তুতিও যৌথভাবেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরেও চীনে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে, চীন থেকে গোটা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো একধাপ এগিয়ে গিয়ে কোভিড-১৯ কে ‘‘চীনা ভাইরাস’’ হিসেবে অভিহিত করেন।
যদিও, চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটির দাবি, করোনাভাইরাসের উত্স নির্দিষ্ট কোনও একটা জায়গা নয়। একাধিক উত্স থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনাভাইরাস নিয়ে এই পারস্পারিক দোষারোপের মধ্যেই সদ্যসমাপ্ত বছরের মে মাসে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভাবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উত্স অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই কাজে চীনসহ বিশ্বের একাধিক দেশে যাওয়ার কথা ছিল সংস্থাটির বিশেষজ্ঞদের।
উৎস অনুসন্ধান করতে বিভিন্ন দেশের ১০ বিজ্ঞানীকে নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দলও তৈরি করে ডব্লিউএইচও। সেই প্রতিনিধি দলেরই চীনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেইজিং অনুমতি না দেওয়ায় জনসংখ্যায় পৃথিবীর বৃহত্তম এই দেশটিতে আপাতত যাওয়া হচ্ছে না তাদের।
টিএম