শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) ঠেকাতে বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যে সবার আগে শিক্ষকদের টিকা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্সের প্রধান।

মহামারিতে গত বছরের পর এ বছরও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ ভারতের স্কুলগুলো ফের খুলে দেওয়া হতে পারে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার আইসিএমআর প্রধান এমনটাই বলেন।  

আইসিএমআর মহাপরিচালক ডা. বলরাম ভারগাভা বলেন, ‘স্কুল খুলে দুইবার বিপদে পড়েছে যুক্তরাজ্য। তাই শিক্ষকদের আগে টিকা দেওয়া উচিত। বিস্তার ঠেকাতে তাদের পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদেরও টিকা দিতে হবে।’  

ভারতে অনুমোদন পাওয়া দুটি ভ্যাকসিনই— প্রথমটি, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ড এবং দ্বিতীয়টি, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন— শিশুদের দেহে পরীক্ষা করা হয়েছে। 

ডা. বলরাম ভারগাভা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাকসিন’ নামে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটি ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী বেশ কিছু শিশুর দেহে প্রয়োগ করে এর কার্যকারিতা ও সুরক্ষা যাচাই করা হয়েছে।’ 

কোভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল জানিয়েছে ডা. বলরাম বলছেন, এতে দেখা যাচ্ছে যে, বারো বছরের শিশুসহ স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে প্রয়োগে এই ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক কম। 

উল্লেখ্য, বারো বছরের বেশি বয়সী শিশুদের দেহে কোভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলানোর অনুমোদন দিলেও সেরামের উৎপাদিত কোভিশিল্ড শিশুদের দেহে প্রয়োগের অনুমোদন দেয়নি ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া। 

এএস