ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদান। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিনের উপস্থিতিতে বুধবার সুদানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এসোসিয়েট প্রেস (এপি)। 

সুদানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, দেশটির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী নাসরিদিন আব্দুল বারি এবং মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুনচিন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

মুনচিনের বরাত দিয়ে সুদানের সরকারি সংবাদ সংস্থা সুনা বলেছে, এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি চুক্তি... ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর এই চুক্তির চমৎকার প্রভাব পড়বে। কারণ তারা সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবে।

আব্দুল বারি বলেছেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও ইসরায়েলের সঙ্গে এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের পুনর্মিলনের যে উদ্যোগ সেটিকে স্বাগত জানায় সুদান। 

নিকট ভবিষ্যতে নিজেদের শক্তি এবং সক্ষমতা সম্প্রসারণে ইসরায়েলের সঙ্গে সুদান কাজ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সুদানের বিচারবিষয়ক মন্ত্রী নাসরিদিন আব্দুল বারি

বিশ্বব্যাংকের ঋণের দায়ে জর্জরিত আফ্রিকার এই দেশটির ঋণ পরিশোধে সহায়তার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং সুদানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। সমঝোতা অনুযায়ী, সুদানকে বিশ্বব্যাংকের ঋণ পরিশোধে অর্থ সহায়তা করবে ওয়াশিংটন। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা এবং দেশের কাছে সুদানের ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ রয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আরব বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে বলে ঘোষণা দেন। তবে সুদানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তির ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

১৯৯০ সালে ইসরায়েলকে জর্ডান এবং ১৯৭০ সালে মিসর স্বীকৃতি দেয়ার পর গত বছরের শেষের দিকে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তিতে স্বাক্ষর করে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। পরে একই পথে হেঁটে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে মরক্কো।

আরব বিশ্বের সঙ্গে ইসরায়েল কখনও কোনও সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে ইসরায়েল থেকে অনেক দূরে অবস্থিত এসব দেশের তাতে ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা খুবই সীমিত।

এসএস