ইরানের বিরুদ্ধে চুক্তি ভাঙার অভিযোগ ইউরোপের তিন পরাশক্তির
সম্প্রতি ইউরেনিয়াম মজুতের পরিমাণ ২০ শতাংশ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে ইরান। গত সোমবার থেকে সেই কাজও শুরু করে দিয়েছে দেশটি। আর এটা করতে পারলে পরমাণু অস্ত্র বানাতে ইরানের আর কোনো অসুবিধা হবে না। আর এ কারণেই ইরানের বিরুদ্ধে চুক্তি ভাঙার অভিযোগ তুলেছে ইউরোপের তিন পরাশক্তি।
একইসঙ্গে ইউরেনিয়াম মজুতের পরিমাণ ২০ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়েও ইরানের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য।
বিজ্ঞাপন
একযোগে বিবৃতি দিয়ে এই তিন দেশ দাবি করেছে, ইরানকে ইউরেনিয়াম মজুতের সিদ্ধান্ত বদলাতে হবে। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী ইরান কতটা ইউরেনিয়াম মজুত করতে পারবে, তার সীমা বেঁধে দেওয়া আছে। সেই চুক্তি ভাঙা উচিত নয় তেহরানের।
পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপের তিনটি প্রধান দেশের বক্তব্য, ইরানের এ কাজ অন্যায়। ইরান ২০১৫ সালে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা থেকে তারা সরে আসছে।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে দেশ তিনটি বলছে,‘ইরানের সিদ্ধান্তে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। ইরান ২০ শতাংশ ইউরেনিয়াম মজুত বাড়াচ্ছে। এই কাজের পেছনে তাদের কোনো ‘গ্রহণযোগ্য যুক্তি’ নেই। ইরান চুক্তি ভাঙছে।’
একইসঙ্গে এই চুক্তি বহাল রাখার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তিন দেশের মতে, আমেরিকায় নতুন প্রশাসন আসছে। এই অবস্থায় কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করার সুযোগ ইরানের সামনে এসেছিল। তারা তা নষ্ট করে দিতে চলেছে।
এর আগে ২০১৮ সালে ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে সরে আসেন। চুক্তিতে আমেরিকা ছাড়াও স্বাক্ষর করেছিল ইউরোপের তিন দেশ ও চীন।
জর্ডানে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে একটি সমাবেশে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, বিশ্বে যেন আর নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না হয়।
তিনি বলেছেন,‘আমরা এমন এক সময়ে আছি, যখন আরো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এর পরিণতি মারাত্মক হতে বাধ্য।’
বিশেষজ্ঞদের দাবি, জার্মানির কাছে ২০টি পারমাণবিক বোমা আছে। দেশের পশ্চিমে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে সেগুলো রাখা আছে। নির্দেশ পেলেই টর্নেডো ফাইটার জেট সেই বোমা ফেলে আসতে পারে।
টিএম