○ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিল 
○ তিন দশক আগে পেনসিলভানিয়ার লিহাই বিশ্ববিদ্যালয় এই ডিগ্রি দেয়
○ ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে সমর্থকদের হামলার পর ডিগ্রি হারালেন ট্রাম্প 

৩০ বছরেরও বেশি সময় আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেয়া সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিল করেছে দেশটির পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের লিহাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় লিহাই বিশ্ববিদ্যালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টি ট্রাম্পকে দেয়া সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে শুক্রবার। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সিএনএন প্রশ্ন করলেও আর কোনও তথ্য দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

১৯৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠান অংশ নিয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন সেসময়ের ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই অনুষ্ঠানে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

লিহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক জেরেমি লিত্তাও ট্রাম্পের ডিগ্রি বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‌‘আমাদের ফ্যাকাল্টি, কর্মী, শিক্ষার্থী এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের পাঁচ বছরের চাপের পর লিহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টি অবশেষে সঠিক কাজ করেছে। তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিল করেছেন।’

কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে শত শত উগ্র সমর্থকের হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতায় ক্যাপিটল হিলের এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের প্রাণহানির পর লিহাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিলের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ক্যাপিটল হিলে হামলার এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে লিহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট জন ডি. সিমন বলেছেন, ‘এটি আমাদের গণতন্ত্রের ভিত্তির ওপর সহিংস আক্রমণ।’

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অনেক ব্যবহারকারী ট্রাম্পের ডিগ্রি বাতিলের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডিগ্রি ফেরত দেয়ার আহ্বান জানিয়েছ্নে তারা। 

এর আগেও, ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাম্পকে দেয়া সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিলে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময় শত শত ফ্যাকাল্টি সদস্য ট্রাম্পের ডিগ্রি বাতিলের পক্ষে ভোট দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড তা প্রত্যাখ্যান করে।

এদিকে, গত নভেম্বরের নির্বাচন নিয়ে টুইট বার্তায় মিথ্যা অভিযোগ এনে সহিংসতায় উসকে দেয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। টুইটারের এ সিদ্ধান্তের পর একই ধরনের নিজস্ব একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আনার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট।

৩ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরে গেলেও তা কখনই স্বীকার করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ক্যাপিটল হিলে গত ৬ জানুয়ারির হামলার পর প্রথমবারের মতো হার মেনে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের অঙ্গীকার করেছেন তিনি। 

আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট হিসবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। তবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিতি থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সূত্র : সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট।

এসএস