খ্রিস্টান ধর্মের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা পোপ ফ্রান্সিস এবং তার পূর্বসূরী সাবেক পোপ পঞ্চদশ বেনেডিক্ট করোনা টিকা নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তারা দু’জন টিকা নেন বলে নিশ্চিত করেছেন ভ্যাটিক্যানে পোপের মুখপাত্র মাত্তেও ব্রুনি।

ব্রুনি বলেন, ‘আমি এই মর্মে নিশ্চিত করছি যে ভ্যাটিক্যান সিটির সরকারি টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে পোপ ফ্রান্সিস এবং তার পূর্বসূরী পোপ বেনেডিক্ট বৃহস্পতিবার করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।’

তারা উভয়েই ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাত্তেও ব্রুনি।

বুধবার ভ্যাটিক্যানে সরকারিভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। ৮৪ বছর বয়স্ক পোপ ফ্রান্সিস সেদিনই টিকা নিয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল, তবে পোপের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন-সেদিন টিকা নেননি পোপ।

পোপ ফ্রান্সিসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা আর্জেন্টিনায়। নিজের ধর্মীয় অনুসারীদের বাইরেও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের প্রতি ভালবাসা প্রকাশের জন্য সুপরিচিত পোপ ফ্রান্সিস সাধারণত মাস্ক ব্যবহারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেন না। তবে ইতালিতে মহামারি দেখা দেয়ার পর থেকেই জনসমক্ষে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।

২১ বছর বয়সে ভয়াবহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন পোপ। পরে তা প্লুরিসিতে রূপ নেয়ায় তার ফুসফসের একটি অংশ কেটে বাদ দিতে হয়।

সম্প্রতি লেট আস ড্রিম’ নামে একটি বই প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। নিজের শারীরিক অবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যেসব রোগী ভেন্টিলেটর ব্যাবহারের পরও শ্বাসকষ্টে ভোগেন, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তাদের যন্ত্রণা কিছুটা হলেও বুঝতে পারি আমি।’

সূত্র: এনডিটিভি।

এসএমডব্লিউ