অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জরুরি অনুমোদন চায় সেরাম
জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা টিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকা দ্রুত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাবে বলে প্রত্যাশা করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট (এসআইআই)।
গত ৩১ ডিসেম্বর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই অনুমোদনের পর উন্নত বিশ্বে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর উন্নয়নশীল দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করার জন্য ডব্লিউএইচও বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন কারণে তা গতি পায়নি।
বিজ্ঞাপন
আন্তজাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের এক প্রশ্নের উত্তরে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী এক কিংবা দু’ সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দেবে। অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন, তার সবই আমরা জমা দিয়েছি।’
ফাইজার-বায়োএনটেক এবং অতিসম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে অনুমোদিত মডার্নার টিকা তৈরি করা হয়েছে উন্নত বিশ্বে ব্যবহারের জন্য। অন্যদিকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
বিজ্ঞাপন
পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বসবাস করা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য টিকা নিশ্চিত করতে ‘কোভ্যাক্স’ নামে যে প্রকল্প নিয়েছে ডব্লিউএইচও, বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই সে প্রকল্পে টিকার যোগান দিতে চায় সেরাম ইনস্টিটিউট।
কোভ্যাক্স প্রকল্পে নিবন্ধিত দেশগুলোকে প্রতি ডোজ টিকা তিন ডলারে বিক্রি করবে ডব্লিউএইচও। ইতোমধ্যে ১৮৯টি দেশ এই প্রকল্পে নিজেদের নিবন্ধিত করেছে।
পুনাওয়ালা জানান, কোভ্যাক্সের জন্য ফেব্রুয়ারিতে দু’ কোটি ডোজ টিকা প্রস্তুত করা হবে। এপ্রিল নাগাদ তা উন্নীত করা হবে প্রতি মাসে ৫ কোটি ডোজে। পাশাপাশি ভারতীয়দের জন্য প্রতি মাসে আরো ৩-৪ কোটি ডোজ টিকা প্রস্তুত করবে সেরাম।
শনিবার থেকে ভারতে শুরু হতে যাচ্ছে টিকাদান কর্মসূচি। এই কর্মসূচির জন্য ইতোমধ্যে নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রস্তুত করা এক কোটি দশ লাখ ডোজ টিকা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিক্রি করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএমডব্লিউ