আইসক্রিমেও মিলল করোনা
চীনের উত্তরাঞ্চলে তিনটি আইসক্রিমে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এরপর হাজার হাজার আইসক্রিম জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবারের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেন্ডেন্ট ও স্কাই নিউজ।
স্কাই নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী তিয়ানজিয়ানের ডাকিয়াওদো ফুড কোম্পানির তৈরি হাজার আইসক্রিমের সংস্পর্শে এসেছেন অনেকে। এর মাধ্যমে ভাইরাসটির বিস্তারের শঙ্কায় তিয়ানজিয়ান মিউনিসিপ্যালিটির কর্মকর্তারা এখন এসব মানুষের গতিবিধি নজরদারির কাজ করছেন।
বিজ্ঞাপন
নমুনা হিসেবে তিনটি আইসক্রিম তিয়ানজিয়ানের নগর রোগ নিয়ন্ত্রণে পাঠানোর পর সবগুলো আইসক্রিমে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হলে উল্লিখিত কোম্পানিটির সকল পণ্য জব্দ করেছে মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত করে দেখা যাচ্ছে, কোম্পানিটি সম্প্রতি যেসব আইসক্রিম তৈরি করে বাজারে ছেড়েছে সেগুলো যে কাচামাল দিয়ে তৈরি হয়েছে এরমধ্যে নিউজিল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত দুধ ও ইউক্রেনের মাঠাও রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ডাকিয়াওদো ফুড কোম্পানি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত তারা এক হাজার ৬৬২ জন কর্মীকে কোয়ারেন্টিন করে রেখেছে। এরপরও তারা করোনা আক্রান্ত কিনা তা জানতে পরীক্ষা চলছে গণহারে।
এখন পর্যন্ত অবশ্য কেউ আক্রান্ত হয়নি। হাতে আসা ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে ৭০০ জনের করোনা পরীক্ষার ফল এসেছে নেগেটিভ। বাকি ৯৬২ জন কর্মীর নমুনা পরীক্ষার ফল এখনও পাওয়া যায়নি।
লিডস ইউনিভার্সিটির ভাইরোলোজিস্ট ডা. স্টিফেন গ্রিফিন বলছেন, এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ানো উচিত হবে না। সম্ভবত কোনো মানুষের মাধ্যমে আইসক্রিমগুলো কোনো একটিতে ভাইরাসটি চলে গেছে।’
তিনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে বলেন, ‘সম্ভবত আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কেননা কোনো মানুষের প্রতিটি কামরের মাধ্যমে যেকোনো আইসক্রিমে ভাইরাসটি যেতে পারে।’
এএস