আকাশসীমা লঙ্ঘন, চীনা যুদ্ধবিমানকে তাইওয়ানের ধাওয়া
আকাশসীমা লঙ্ঘন করে তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চীনের অনুপ্রবেশ করা আটটি বোমারু বিমান এবং চারটি যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে এই দ্বীপ ভূখণ্ডের বিমানবাহিনী। শনিবার আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে চীনা অনুপ্রবেশ নজরদারি করতে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে তাইওয়ান।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রত্যেকদিন দক্ষিণ চীন সাগরে তাইওয়ান নিয়ন্ত্রিত প্রাটাস দ্বীপপুঞ্জ ও তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলের জলসীমার আকাশ দিয়ে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করছে বেইজিং।
বিজ্ঞাপন
চীনা যুদ্ধবিমানের এই মিশনে আটটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এইচ-৬কে বোমারু বিমান ও চারটি জে-১৬ যুদ্ধবিমান ছিল; যা অস্বাভাবিক, বলছে তাইওয়ান।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরবরাহকৃত এক মানচিত্রে দেখা যায়, একটি ওয়াই-৮ অ্যান্টি-সাবমেরিন বিমানও ওই যুদ্ধবিমানের বহরে ছিল; যা একই জলসীমার আকাশে উড়েছে। প্রাটাস দ্বীপপুঞ্জের কাছে সম্প্রতি শেষ হওয়া চীনা মিশনে এই যুদ্ধবিমানও ছিল।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রণালয় বলছে, তাইওয়ানের বিমানবাহিনী চীনা বিমানকে সতর্ক করে দেয়ার পাশাপাশি নজরদারি করতে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে। তবে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে চীনের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অতীতে এ ধরনের মিশনের ক্ষেত্রে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় সামরিক মহড়া চালানো হয় বলে জানায় চীন।
গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সমর্থনে বেইজিংয়ের উদ্বেগ বাড়ছে। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার দু’দিন পর চীনা বোমারু ও যুদ্ধবিমানের বহর তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটলো।
গত বুধবার বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত এই দ্বীপ ভূখণ্ডের দূত সিয়াও বি-খিম অংশ নেয়ার পর হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র এমিলি হর্নি বলেন, গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের প্রতি ওয়াশিংটনের অবস্থান দৃঢ়।
এসএ