নেদারল্যান্ডসে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।

মহামারি করোনার প্রকোপ ঠেকাতে রাত্রিকালীন কারফিউ জারির পর নেদারল্যান্ডসের মানুষ এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেছে। বিক্ষোভ থেকে অগ্নিকাণ্ড ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। 

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নেদারল্যান্ডসে আবার রাতে কারফিউ জারি করা হলো। আর সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশটির মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদও শুরু করেছে। 

নেদারল্যান্ডসের রাজধানী শহর আমস্টারডামসহ তিনটি শহরে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন লকডাউনবিরোধী মানুষজন। তাতে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। গ্রেপ্তার করা হয় অনেক বিক্ষোভকারীকে।

স্থানীয় সময় রোববার বিক্ষোভ প্রথমে শুরু হয় আমস্টারডামের উত্তর-পশ্চিমের শহর উরক থেকে। সেখানে একদল তরুণ একটি ভাইরাল টেস্টিং সেন্টার ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করেন। 

কয়েক ঘণ্টা পর বিক্ষোভ শুরু হয় আমস্টারডামে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশের অভিযান শুরু হলে আইন্ডহোভেন স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভকারীরা গাড়ি পুড়িয়ে দেয় ও ভাঙচুর চালায়।

উরকে টেল্টিং সেন্টার জ্বালিয়ে দেয়া হলো

আমস্টারডামের সেন্ট্রাল মিউজিয়াম স্কয়ারে কয়েকশ বিক্ষোভকারী জমায়েত হন। অথচ করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটির সরকার দুইজনের বেশি মানুষের কোনো জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

শুধু তাই নয় ভাইরাসটির সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় আমস্টারডামের মিউজিয়াম স্কয়ারকে ‘হাই রিস্ক জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে যে কোনো মানুষকে তল্লাশি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভ থেকে দেশজুড়ে শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জরিমানা করা হয়েছে তিন হাজার ৬০০ বিক্ষোভকারীকে। কারফিউ ভাঙলে ৯৫ ইউরো জরিমানা করা হচ্ছে।

এসএ