করোনা : সফলতায় শীর্ষে নিউজিল্যান্ড-ভিয়েতনাম
মহামারি করোনার প্রকোপ মোকাবিলায় কোন দেশ কতটা সফল হয়েছে, এই বিবেচনায় একশো দেশকে নিয়ে করা একটি সূচকে শীর্ষ তিনটি দেশ হল যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং তাইওয়ান।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনকে বাদ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক দ্য লওয়ে ইনস্টিটিউটের করা ওই সূচকে একেবারে শেষের দিকে রয়েছে করোনায় শীর্ষ বিপর্যস্ত দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
দ্য লওয়ে ইনস্টিটিউটের করা ওই সূচকটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। তবে করোনা নিয়ে তথ্যের অপর্যাপ্ততার কারণে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়া দেশ চীনকে সূচকে রাখা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
শীর্ষ দশে থাকা অন্য দেশগুলো যথাক্রমে থাইল্যান্ড, সাইপ্রাস, রুয়ান্ডা, আইসল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, লাটভিয়া এবং শ্রীলঙ্কা। সমষ্টিগতভাবে ও মাথাপিছু হারে এসব দেশে মহামারি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম।
রয়টার্স জানাচ্ছে, ২০২১ সালের সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে ৯৮টি দেশের ৩৬ সপ্তাহের মোট করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর বিষয়টি বিশ্লেষণ করে করোনায় সফলতার এই সূচক তৈরি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
লওয়ে ইনস্টিটিউট বলছে, এতে চৌদ্দ দিনের গড় আক্রান্ত, প্রতি দশ লাখে আক্রান্ত, করোনায় মৃত্যু, প্রতি দশ লাখে মৃত্যু, নমুনা পরীক্ষার অনুপাত ও প্রতি হাজারে নমুনা পরীক্ষার মতো বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
মহামারি করোনায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা দশ কোটি ছাড়ানো এবং প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা যখন ২২ লাখ ছুঁই ছুঁই করছে তখন করোনা মোকাবিলা নিয়ে এমন সূচক প্রকাশিত হল।
আড়াই কোটির বেশি রোগী নিয়ে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের এই সূচকে অবস্থান ৯৪তম। এদিকে এক কোটি দশ লাখের বেশি রোগী নিয়ে ৮৬তম অবস্থানে ভারত। ইউরোপে সর্বাধিক মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৬৬তম।
সূচকে দেখা যাচ্ছে, করোনা মোকাবিলায় এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছে। আর করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও ঠেকাতে না পারায় সূচকে সবচয়ে বাজে অবস্থান ইউরোপ-আমেরিকার।
লওয়ে ইনস্টিটিউট তাদের বিশ্লেষণে বলেছে, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাত্রা বা দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য প্রায়শই এমন ফলাফলে যে প্রভাব ফেলে করোনা মোকাবিলায় তেমনটা হয়নি।
‘মহামারির মতো বৈশ্বিক একটি সংকট মোকাবিলায় সাধারণত কম জনসংখ্যার, সংহত সমাজ ব্যবস্থা এবং কার্যকর প্রতিষ্ঠানের দেশগুলো বিশ্বব্যাপী করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে তুলনামূলক সুবিধা অর্জন করেছে।’
এসএ