যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছরের মার্চ নাগাদ আরো ৯০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগ (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসিপি)।

সিডিসিপির প্রধান নির্বাহী ডা. রোশেল ওয়ালেনস্কি ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি জানি, এটা আমাদের জন্য মোটেও আকাঙ্ক্ষিত কোনও খবর নয়; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সামনে যে বিপদ অপেক্ষা করছে, তার আকার-আকৃতি সম্পর্কে ধারণা পেতে এই তথ্য যথেষ্ট।’

‘এখন আমাদের সামনে একটিই পথ খোলা আছে- যথাযথ পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের ভিত্তিতে এই মহামারি প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর বাস্তবায়ন করা। আমরা যদি সবাই সমন্বিতভাবে একযোগে কাজ শুরু করি, একমাত্র তাহলেই এই মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব।’   

ওয়ালেনস্কি আরও বলেন, ‘সিডিসিপির পূর্বাভাস বলছে, দেশে বর্তমানে সংক্রমণের যে পরিস্থিতি, তাতে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার থেকে ৫ লাখ ১৪ হাজারে উন্নীত হতে পারে।’

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম যে ব্যক্তি মারা যান, ওই মার্কেটে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল।

৬১ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তি যখন মারা যান, তখনো এই রোগের নাম নির্দিষ্ট করা হয়নি। চীনের সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘অপরিচিত ধরনের নিউমোনিয়ায়’ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি। এরপর ২০২০ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে গোটা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।  

মহামারির শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি  ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৪২৩ এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫২১ জন।

সূত্র: দি গার্ডিয়ান

এসএমডব্লিউ