কাতার-কানাডায় পাঠানোর কথা বলে ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ
বিদেশে পাঠানোর কথা বলে অর্থআত্মসাৎ করা দুই প্রতারক/ ছবি: সংগৃহীত
বৈধ রিক্রুটিং লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও বনানীতে অফিস খুলে বসেছে চক্রটি। বিদেশে গমনেচ্ছুদের জানিয়েছে, তাদের লাইসেন্স আছে।
অফিসে আসা লোকজনকে তারা বলেন, খুব সহজেই বিনা ঝামেলায় তারা কাতার ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে লোক পাঠাতে পারেন। এসব কথা শুনে বিদেশ গমনেচ্ছুরা আকৃষ্ট হয়। পরে চক্রটি ২৫-২৬ জনকে জাল ভিসা দিয়ে ৪৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
বিজ্ঞাপন
এ ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৬ জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আলী আশরাফ (৪২) ও মো. এখলাছ উদ্দিন (২৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৯টি বাংলাদেশ পাসপোর্ট, একটি ক্যাশবুক খাতা, একটি রেজিস্ট্রার খাতা, একটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার ও ২০টি ভিজিটিং কার্ড জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. খালিদ উল হক হাওলাদার ঢাকা পোস্ট-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চক্রটি সদস্যরা গত ছয় মাস আগে প্রথমে বনানীতে একটি অফিস খুলে ২৫-২৬ জন বিদেশ গমনেচ্ছুদের জাল ভিসা দিয়ে ৪৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা আত্মসাৎ করে অফিস পরিবর্তন করে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন নর্থ কমলাপুর ইস্টার্ন কমলাপুর কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলায় আরেকটি অফিস খোলে। পরে ছয় জন ভিকটিম তাদের খুঁজতে খুঁজতে নতুন অফিসের ঠিকানা পেলে সিআইডির কাছে আসে।
সিআইডি এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) কমলাপুর ইস্টার্ন কমলাপুর কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলায় চক্রটি অফিস এ এস ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসে অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, চক্রটির সদস্যরা প্রথমে প্রবাসে যেতে ইচ্ছুক মানুষজনকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে আকৃষ্ট করে। পরে তাদের অফিসে আসতে বললে তাদের কাতার ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে খুব সহজেই পাঠানোর প্রলোভন দেখায়। পরে চক্রটির এসব মানুষদের জাল ভিসা দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এমএসি/এফআর