উত্তরার মানিক ফাস্টফুুডে

একজন ক্রেতা রাজধানীর উত্তরায় মানিক ফাস্টফুুডে খাবার খেয়ে বিল দেওয়ার পর ভ্যাটের চালান চান। তাকে ভুয়া ভ্যাট চালান দিলে ওই ক্রেতা ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন। এরপরই অভিযান চালিয়ে বড় অংকের ভ্যাট ফাঁকির তথ্য-প্রমাণ পায় ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় ওই ফাস্টফুডে অভিযান চালিয়ে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ তথ্য ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তিনি বলেন, একজন ক্রেতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। সংস্থার উপপরিচালক তানভীর আহমেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। গোয়েন্দা দল অভিযানে দেখতে পান, প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে কম ভ্যাট দিয়েছে। গোয়েন্দা দল ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে তাদের বাণিজ্যিক দলিলাদি ও কম্পিউটারের তথ্য জব্দ করেছে। এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। ভ্যাট আইন লঙ্ঘনের কারণে মানিক ফুডসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

ভ্যাট গোয়েন্দার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির নাম মি. মানিক ফুডস। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ রোডে এর অবস্থান। সেখানে চিকেন ফ্রাই, বার্গার, গ্রিল ও অন্যান্য ফাস্টফুড বিক্রি করা হয়। মানিক ফাস্ট ফুড অনলাইনে খাবার হোম ডেলিভারিও করে আসছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতার অভিযোগ অনুসন্ধান করে গোয়েন্দারা দেখতে পান, গত ১৮ ডিসেম্বর ৫৭ নম্বর টোকেনে উত্তরার স্টোরটি খাবার কেনার রিসিপ্ট দিলেও এতে ১৩ ডিজিট মূসক নম্বরের উল্লেখ নেই। নথিপত্র যাচাই করে ফাস্ট ফুডের ভ্যাট চালানের রেকর্ডে ওই বিক্রির হিসাব পায়নি গোয়েন্দা দল।

গোয়েন্দারা ফুডপান্ডা ও সহজডটকমের সিস্টেম থেকে যাচাই করে দেখতে পান, মানিক ফুডস কেবল অনলাইনে মাসে গড়ে প্রায় ৫ লাখ টাকার খাবার সরবরাহ করেছে ৬ মাস ধরে। অফলাইনে মানিক ফুডসের বিক্রি আরও বেশি। ভ্যাট গোয়েন্দারা জব্দকৃত দলিল যাচাই করে ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ বের করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে।

আরএম/এইচকে