জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন মাত্র, কিন্তু ঘোষক নন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান।

তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করেছেন বলে পাঠক দাবি করতে পারেন, কিন্তু ঘোষক নন। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

শাজাহান খান বলেন, কয়েকদিন আগে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ভাষণ দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়নি, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর সেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। আবার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছেন জিয়াউর রহমান। মিথ্যাচারের একটা সীমা আছে। বাংলাদেশের মানুষ কি এতই বোকা যে, তারা যা বলবে তাই বুঝবে। 

শেখ হাসিনার আমলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে সারা বিশ্ব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। আর আমরা পালন করি দুটি। একটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, অন্যটি হচ্ছে শহীদ দিবস। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিষ্ঠার পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে কি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যের জবাব হয়ে যায় না? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। এটা অস্বীকার করার মানে কি?

তিনি আরও বলেন, আপনারা শুনেছেন বিএনপি এবার থেকে ৭ মার্চ পালন করবে। তারা কি বলবে, সেটা আমি জানি না। তবে আমি বলতে চাই, ৭ মার্চ হয়েছিল বলেই স্বাধীনতার একটি ক্ষেত্র চূড়ান্ত পর্যায়ে হয়েছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করেছেন। ৭ মার্চ বাংলাদেশের একটি টার্নিং পয়েন্ট, এটাকে অস্বীকার করার কিছু নেই।

এমএইচএন/জেডএস