নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ডিজিটাল (অনলাইন) সেবা পেয়ে দেশের ১৬ কোটি মানুষ গর্বিত। শ্রমিক-কৃষক থেকে শুরু করে আমরা সবাই এই সেবা পাচ্ছি। ডিজিটাল এ সেবা না থাকলে সমগ্র বিশ্ব থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতাম।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) অনলাইনের মাধ্যমে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে ‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ সফটওয়্যারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে ডিজিটাল সেবায় নিয়ে গেছেন। আমরা চলতে চলতে ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে কাজ করতে পারি। এ ডিজিটাল সেবার স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তার সরাসরি নির্দেশনায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বুড়িমারী স্থলবন্দর আরও গতিশীল হবে, স্বচ্ছতা আসবে, হয়রানি হ্রাস ও সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের ফলে আমরা সমগ্র পৃথিবীর দৃষ্টির মধ্যে আছি। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা ‘রোল মডেল’ হিসেবে কাজ করছেন। তার নির্দেশনায় আমাদের কাঙ্ক্ষিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবো।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় থাকা ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে ১২টি স্থলবন্দরের কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়কারী বন্দর বুড়িমারী স্থলবন্দর। স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সেবা সহজীকরণ ও ই-সার্ভিসের আওতায় ‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ সফটওয়্যার এই স্থলবন্দরে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে স্থলবন্দরের বিদ্যমান সকল সেবা অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। এতে সেবা গ্রহীতাদের সময় ও খরচ কমবে এবং স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি পাবে।

এই অনলাইন সেবার মাধ্যমে পণ্যবাহী ভারতীয় গাড়ি বন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে নাম ও ওজনসহ পণ্যের তথ্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এসএমএস-ইমেইলের মাধ্যমে আমদানিকারকের নিকট পৌঁছে যাবে। তাছাড়া স্বয়ংক্রিয় বিলিং, পণ্যের পোস্টিং, বন্দরের গেট পাশ,  অনলাইন ডেলিভারি, অনলাইন মনিটরিং ও রিপোর্ট (ড্যাশবোর্ড), অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা, আমদানিকারক/সিএন্ডএফ এজেন্ট/ভারতীয় গাড়ি চালক/পণ্যের তথ্য সংরক্ষণ সুবিধা থাকবে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে. এম. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতাহার হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, এটুআই প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)  ড. মো. আব্দুল মান্নান, আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সওদাগর, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান (রাসেল) প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এইউএ/টিএম