মোংলা বন্দর ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে সংসদে বিল

মোংলা বন্দরের স্থাপনা ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রেখে ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার (৩ এপ্রিল) নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করেন। পরে বিলটি দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুই মাসে মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সালে প্রণীত আইনগুলো বাতিল করা হবে। এজন্য ‘মোংলা পোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স- ১৯৭৬’ এর পরিবর্তে নতুন এই আইন করা হচ্ছে।

বিলে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে দেশের যেকোনো স্থানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। বিলে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বন্দরের বিভিন্ন এলাকা ও স্থানকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা যাবে।

প্রস্তাবিত আইনে বন্দরে পণ্য বোঝাই, সংরক্ষণ, খালাস ও সরবরাহের জন্য প্রয়োজনে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অপারেটর নিয়োগের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, কেউ যতি টোল, রেট, মাশুল ইত্যাদি ফাঁকি দেয়, তবে এক মাসের জেল অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এই আইনের অধীনে যে অপরাধ হবে সেগুলো ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বিচার হবে, ভ্রাম্যমাণ আদালতেও বিচারের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে বন্দরের কোনো স্থাপনা ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিধি দিয়ে নির্ধারিত মেয়াদ, শর্ত ও পদ্ধতিতে অনুমতি দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে এই বিধানটি ছিল না।

এইউএ/এসএসএইচ