সেন্টমার্টিনের সংগৃহীত ছবি

সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের জন্য ১৪ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। শনিবার (২ জানুয়ারি) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে অধিদপ্তরটি।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিন সরকার ঘোষিত একটি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা। অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন এবং পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিরোধী আচরণের কারণে সেন্টমার্টিনের বিরল প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বিরল জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারসহ দ্বীপটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এর ০৪ ধারার ক্ষমতাবলে এ দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিচের লেখা কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এসব নিষেধাজ্ঞ না মানলে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।’

নিষিদ্ধ ঘোষণা করা কার্যক্রমগুলো হচ্ছে-

দ্বীপের সৈকতে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যানসহ সব ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন চালানো; দ্বীপের সৈকত, সমুদ্র এবং নাফ নদীতে প্লাস্টিকসহ সব ধরনের বর্জ্য ফেলা; পশ্চিম পাশে সৈকতে কোনাপাড়ার পর দক্ষিণ দিকে এবং পূর্ব পাশের সৈকতে গলাচিপার পর দক্ষিণ দিকে পরিভ্রমণ; দ্বীপের চার পাশে নৌ-ভ্রমণ করা; জোয়ার-ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর হাঁটা; সামুদ্রিক কাছিমের ডিমপাড়ার স্থানে চলাফেরা, রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা; সৈকতে রাতের বেলা কোনো প্রকার আলো বা আগুন জ্বালানো, আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো; সৈকতে মাইক বাজানো, হৈ-চৈ এবং উচ্চস্বরে গান-বাজনা করা, বার-বি-কিউ পার্টি করা; ছেড়াদিয়া দ্বীপে স্পীড বোটে, কান্ট্রি বোটে, ট্রলার বা অন্যান্য জলযানে যাতায়াত এবং নোঙ্গর করা; সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সরকারের অধিগ্রহণ করা ‘ছেড়াদিয়া দ্বীপ’ ভ্রমণ; প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, তারা মাছ, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয়; জাহাজ থেকে পাখিকে চিপ্স বা অন্য কোনো খাবার খাওয়ানো; দ্বীপে সুপেয় ভূগর্ভস্থ পানি সীমিত বিধায় পানির অপচয় করা; সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর যেকোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা।

এইচএন/এইচকে