করোনায় সীমাহীন দুর্ভোগে পরিবহন শ্রমিকরা
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ শ্রমজীবী মানুষদের চরম সংকটে ফেলে দিয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে নিয়োজিত অসংখ্য শ্রমিক আজ কর্মহারা। কর্ম হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা অতি কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছেন। বিশেষ করে পরিবহন সেক্টরে নিয়োজিত অর্ধ কোটি শ্রমিক আজ দিশেহারা।
সোমবার (১০) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কবির আহাম্মাদ। কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য মাওলানা নুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
শামসুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে পরিবহন সেক্টর অতি গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পেছনে পরিবহন শ্রমিকদের অবদান অপরিসীম। কিন্তু যাদের হাত ধরে দেশের অর্থনীতির উত্তরোত্তর বিকাশ ঘটে তারাই যেন বেশি অবহেলার শিকার। পরিবহন শ্রমিকদের চাকরির কোনো নীতিমালা নেই। নেই সঠিক কর্মঘণ্টার প্রয়োগ। সারাদিন চরম খাটুনি করে নামমাত্র বেতন পেয়ে তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। করোনা সংকটে চালক হেলপাররা কর্ম হারিয়ে বেকার জীবন অতিবাহিত করছে। এই সময়ে তাদের সহযোগিতার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, পরিবহন সেক্টরসহ সব অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখা অনুযায়ী পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। বেকার পরিবহন শ্রমিকদের ভাতা দিতে হবে। এক্ষেত্রে মালিক ও সরকারকে বিশেষভাবে এগিয়ে আসতে হবে। লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত চালক, হেল্পারসহ পরিবহন শ্রমিকদের ঈদুল ফিতরের জন্য বিশেষ ভাতা দিতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পরিবহন শ্রমিকদের পৌঁছে দিতে হবে।
এসআই/আরএইচ