কুষ্টিয়া জেলার সদর ও মিরপুর উপজেলার সঙ্গে মেহেরপুর জেলার গাংনী ও মেহেরপুর সদর উপজেলার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৬৪৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কুষ্টিয়া (ত্রিমোহনী)-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ (আর-৭৪৫) আঞ্চলিক মহাসড়কটির কুষ্টিয়া হতে মেহেরপুর পর্যন্ত যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটির বৈঠকে অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের অনুমোদন দেবেন। 

প্রকল্পটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- কুষ্টিয়া জেলার সদর ও মিরপুর উপজেলার সঙ্গে মেহেরপুর জেলার গাংনী ও মেহেরপুর সদর উপজেলার মধ্যে নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা।

কুষ্টিয়া জেলার সদর ও মিরপুর উপজেলা এবং মেহেরপুর জেলার সদর ও গাংনী উপজেলায় এই প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে। এর বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ডিসেম্বর-২০২০ থেকে জুন-২০২৩ সাল পর্যন্ত। প্রকল্পটি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় (এডিপি পৃষ্ঠা-৮৫৬, ক্রমিক নং-৫০৯) এবং উচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় (এডিপি অগ্রাধিকার তালিকার ক্রমিক নং-১০) অন্তর্ভুক্ত আছে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- ভূমি অধিগ্রহণ ৪.৫৬৬ হেক্টর, সড়ক বাঁধে মাটির কাজ ৫ লাখ ৭১ হাজার ৩০১.১৭ ঘনমিটার, বিদ্যমান পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ ৮.৫৪ কিলোমিটার, বিদ্যমান পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ (৭.৩০ মিটার প্রস্থে) ৫১.৭৬ কিলোমিটার, বিদ্যমান পেভমেন্ট পুনর্নির্মাণ (৫.৫০ মিটার প্রস্থে) ১৪.৭১ কিলোমিটার, বিদ্যমান পেভমেন্ট মজবুতিকরণ (৫.৫০ মিটার প্রস্থে) ৩৭.০৫ কিলোমিটার, হার্ডসোল্ডার নির্মাণ (২×১.৫০ মিটার প্রস্থে) ৫১.৭৬ কিলোমিটার, সার্ফেসিং (ডিবিএস)(২×৩.৬৫ মিটার প্রস্থে) ৮.৫৪ কিলোমিটার, সার্ফেসিং (ডিবিএস) (১০.৩০ মিটার প্রস্থে) ৫১.৯২ কিলোমিটার, নিউ জার্সি বেরিয়ার নির্মাণ ৮ হাজার ৯৫ মিটার, পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ (৪টি) ২২১ মিটার, আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ (৪০টি) ২১৫ মিটার, আরসিসি প্যালাসাইডিং ৭ হাজার ৪৯৪ মিটার, গ্রাস টার্ফিং ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭০৪ বর্গমিটার, আরসিসি ইউ ড্রেন নির্মাণ ১৩ হাজার ৪৪০ মিটার, রোড মার্কিং ২২ হাজার ৭৭২.৫৩ বর্গমিটার, ইন্টারসেকশন ৩টি, নির্মাণকালীন রক্ষণাবেক্ষণ ৫৩.১৪ কিলোমিটার, বৃক্ষরোপণ ২৯.৯৬ কিলোমিটার।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মেহেরপুর জেলার ঐতিহাসিক মুজিবনগরের সঙ্গে কুষ্টিয়া, পাবনা, রাজশাহীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নিরাপদ, নিরবচ্ছিন্ন এবং ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ী সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরিসহ প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।

এসআর/ওএফ