‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের যাত্রা শুরু আজ
যত্রতত্র পড়ে থাকা ময়লার বিষয়েও অভিযোগ জানাতে পারবেন নাগরিকরা/ ছবি: সংগৃহীত
নাগরিকদের ভোগান্তির কথাগুলো জানতে এবং এসবের সমাধান দিতে অ্যাপ চালু করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। করপোরেশনের পক্ষ থেকে অ্যাপটির নাম দেয়া হয়েছে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপ। রোববার (১০ জানুয়ারি) অ্যাপটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে যাচ্ছে ডিএনসিসি।
এ অ্যাপের মাধ্যমে যে কেউ তার এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা তাৎক্ষণিক জানিয়ে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ দেখতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
অ্যাপের আনুষ্ঠানিক যাত্রার বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মানুন জানিয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ডিএনসিসির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি জানান, আজ ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত থাকবেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, এই অ্যাপটির মাধ্যমে ডিএনসিসির এলাকায় বসবাসরত নাগরিকরা রাস্তা কিংবা ফুটপাতের ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা, রাতের বেলা সড়ক বাতি না জ্বলা বা ফুটপাতে পড়ে থাকা বর্জ্যের স্তূপ বিষয়কসহ যেকোনো ধরনের অভিযোগ ছবি তুলে জানাতে পারবেন।
গুগল প্লে-স্টোর থেকে বিনামূল্যে অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। অভিযোগের বিষয়ের ছবি মোবাইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে যাবে। সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় (জোন) দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রতিটি অভিযোগ ও মতামত দেখতে পারবেন।
অভিযোগের ধরন বিশ্লেষণ করে সমাধানের যে উদ্যোগ নেবে ডিএনসিসি, সেটিও জানা যাবে অ্যাপের মাধ্যমে। সমস্যার সমাধান হলে অভিযোগকারীও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিষয়টি জানতে পারতেন।
নাগরিকদের এমন সব সমস্যার সমাধান দিতেই মেয়রের নির্দেশে এই ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপটি চালু হচ্ছে। অ্যাপে অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে সেই এলাকার আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তাসহ ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ওই অভিযোগ বিষয়ে জেনে যাবেন। তাৎক্ষণিকভাবে তারা অভিযোগ হিসেবে আসা সমস্যার সমাধানে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সমাধানের নির্দেশ দেবেন।
কোনো অভিযোগ যদি পেন্ডিং (ঝুলন্ত) থেকে যায়, তাহলে তা ডিএনসিসির মেয়রসহ ওই বিভাগের প্রধান এবং সর্বোচ্চ কর্মকর্তা বিষয়টি অবগত হবেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। ফলে কারা কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন, কোথায় কোথায় নাগরিকদের সমস্যা আছে এবং এসব বিষয়ে ডিএনসিসি সার্বক্ষণিক তথ্য পেতে থাকবে।
এএসএস/এফআর