আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ

পৌষ মাস শেষের দিকে। মাসটির বাকি রয়েছে আর মাত্র চার দিন। এ সময়ে তীব্র শীতের কথা থাকলেও দিনের বেলার তাপমাত্রা থাকছে বেশ চড়া। তবে দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি বিরাজ করলেও রাতে দেশব্যাপী ভালোই শীত পড়ছে। এমন আবহাওয়া আরও দুই-একদিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

রোববার (১০ জানুয়ারি) আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, দিন ও রাতের এ তাপমাত্রার তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না। তবে দুদিন পর থেকে তাপমাত্রা দুই-এক জায়গায় কমতে পারে। এছাড়া নদী ও আশপাশের এলাকায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে শ্রীমঙ্গলে; ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশের বিভিন্ন বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) সর্বনিম্ন তাপমাত্রার তথ্যে বলা হয়েছে, ঢাকায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ১৫ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামের টেকনাফে ১৫ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনার কুমারখালীতে ১৪ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীর বদলগাছীতে ১১ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বরিশালের ভোলায় ১৪ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

সিনপটিক অবস্থার তথ্যে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশ এলাকায় রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে কোথাও কোথাও মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মাঝরাত থেকে কোথাও কোথাও কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা আছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক ছিল ‍উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় (৮-১২ কিলোমিটার)। সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬০ ভাগ।

শৈত্যপ্রবাহের তথ্যে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহের শেষের দিকে নতুন বছরের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। যা প্রায় এক সপ্তাহজুড়ে থাকার সম্ভাবনা আছে। শৈত্যপ্রবাটির তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৬-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

একে/এফআর