শীতের কুয়াশায় গ্রামীণ রাস্তায় বৃদ্ধের পথচলা

ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে দেশে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে শীতের মাত্রা ভালোই বেড়েছিল। কিন্তু শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে যেন শীতও বিদায় নিয়েছিল। গত কয়েকদিন রাজধানীতে বলতে গেলে শীতের মাত্রা তেমন ছিল না। তবে আগামীকাল থেকে ফের শীতের মাত্রা বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির যে সম্ভাবনা ছিল তা একেবারে কেটে যায়নি। রংপুর ও সিলেটের দুয়েক জায়গায় এখনও সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় গড়ে ১৩ ডিগ্রির উপর তাপমাত্রা ছিল। তবে একাধিক স্থানে বেলা ১১টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

শৈত্যপ্রবাহের বিষয়ে এ আবহাওয়াবিদ জানান, আগামীকাল থেকে দেশের দুয়েক জায়গায় তাপমাত্রা কমা শুরু হতে পারে। এর পরের দিন শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শৈত্যপ্রবাহটি সপ্তাহখানেক স্থায়ী হতে পারে। তাপমাত্রাও কমতে পারে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। এছাড়া নদীর আশপাশের এলাকায় সকাল পর্যন্ত কুয়াশা থাকবে।

সিনপটিক অবস্থার তথ্যে বলা হয়েছ, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এদিকে, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক ছিল উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার। আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৭ শতাংশ।

দেশের বিভিন্ন বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ঢাকার টাঙ্গাইলে ১৫ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ১৪ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে ১৪ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ১২ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীর বদলগাছিতে ১২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরের দিনাজপুরে ১৩ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনার চুয়াডাঙ্গায় ১৫ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বরিশালের ভোলায় ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একে/এফআর