বিমসটেকের নতুন মহাসচিব তেনজিন লেখফেল ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাক্ষাৎ

আঞ্চলিক জোট বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) সদস্য দেশগুলোর বেশ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা থাকার পরও তা এখনও অনাবিষ্কৃত রয়েছে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। অর্থনৈতিক এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জোটের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততা চান প্রতিমন্ত্রী।

রোববার (১০ জানুয়ারি) বিমসটেকের নতুন মহাসচিব তেনজিন লেখফেল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাক্ষাতে আসেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বিমসটেক প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমসটেক জোটের সম্ভবনা কাজে  লাগাতে যত দ্রুত সম্ভব আঞ্চলিক জোট দেশগুলোর মধ্যে আলোচনা চালিয়ে কাজে নামতে হবে। তবেই এ জোট থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ঢাকার পক্ষে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।

বিমসটেক হচ্ছে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। বর্তমানে সংস্থাটির নতুন মহাসচিব হলেন ভুটানের তেনজিন লেখফেল। তার আগের মহাসচিব ছিলেন বাংলাদেশের শাহীদুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন।

সংস্থাটির সদর দপ্তর ঢাকায় হওয়ায় বাংলাদেশ এ আঞ্চলিক জোটে সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে নতুন মহাসচিবকে জানান শাহরিয়ার আলম।

প্রতিমন্ত্রী নতুন মহাসচিবকে জানান, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিমসটেকের সচিবালয় নতুন করে সাজানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে নতুন মহাসচিব এ সংস্থাটিকে সামনে এগিয়ে নিতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি সেতু তৈরি করবেন; যেন প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পাদনে এসব দেশগুলোর মানুষ উপকৃত হয়।

নতুন মহাসচিব এ সংস্থার দায়িত্ব পেয়ে বাংলাদেশে কাজ করতে আসতে পেরে গভীর আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের আতিথেয়তার প্রশংসা করে আশা প্রকাশ করেন যে, সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা পেলে এ সংস্থাকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে কাজ করবেন তিনি।

বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ ভুটানের নাগরিক তেনজিন লেখফেলকে বিমসটেকের মহাসচিব করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন শাহরিয়ার আলম। প্রতিমন্ত্রী নতুন মহাসচিবকে বাংলাদেশে অবস্থানকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বিমসটেক ১৯৯৭ সালের ৬ জুন গঠন করা হয়। শুরুতে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড এ চারটি দেশ সংস্থাটি শুরু করে। তখন অবশ্য এর নাম ছিল বিআইএসটি-ইসি। পরে এ সংস্থা শুরুর ছয় মাসের মাথায় মিয়ানমার এতে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের ২য় বৈঠকে নেপালকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হয়। পরে ২০০৩ সালে নেপাল ও ভুটানকে সংগঠনটির পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়া হয়।

২০০৪ সালে সংগঠনের প্রথম আনুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা সংগঠনটির নাম পরিবর্তনের পক্ষে মত দেন এবং পরিবর্তিত নামটি দাঁড়ায় বিমসটেক।

এনআই/এসএম