প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও উপহার স্বরূপ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ভারত আমাদের জানিয়েছে শিগগিরই এ উপহারের টিকা দেশে আসবে। হতে পারে যে সেরামের প্রথম ধাপের টিকা আসার আগেই সেটা চলে আসতে পারে।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনাকালীন যেসব সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে, প্রতিটি সাংবাদিকই ভ্যাকসিন পাবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকায় যারা আছেন, তারা দ্রুতই ভ্যাকসিন পাবেন। পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ের সব সাংবাদিকরাও ভ্যাকসিন পাবেন।

করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার সক্ষম হয়েছে

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ জন্য সবাই কাজ করছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও অনেক কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, করোনায় অসংখ্য চিকিৎসক-নার্সের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও প্রাণ হারিয়েছেন। সর্বশেষ বরেণ্য সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান মারা গেছেন, শুরুর দিকে সাংবাদিক হুমায়ুন কবির মারা যান। সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার সক্ষম হয়েছে। গত দুই দিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সেই চিঠিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সক্ষম হয়েছে জানিয়ে প্রসাংশা করা হয়েছে। করোনার মতো টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণ সঠিকভাবে করতে পারবো বলেও তারা আাশা প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, শুরুতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করা হচ্ছে।

দেশে করোনোর দ্বিতীয় ঢেউ কবে আসছে কেউ জানে না

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েব বাংলাদেশে কবে শুরু হয়েছে তা বুঝতে পারেননি মন্তব্য করে জাহিদ মালেক বলেন, অন্যান্য দেশগুলোতে সেকেন্ড ওয়েভে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়লেও আমাদের দুটি সংখ্যাই কমে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, আমেরিকা-ইউরোপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের হাসপাতালগুলোতে সিট পায় যায়নি। এমন পরিস্থিতি মধ্যে বাংলাদেশ অনেক ভালো রয়েছে। করোনার শনাক্তের হার ৫ শনাক্তের নিচে নেমে আসছে, মৃত্যুহারও কমে আসবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, করোনার মধ্যে সবচেয়ে ভালো কাজ করেছে টেলিমেডিসিন, লকডাউনের মধ্যে জেলা উপজেলা রোগী ঘরে ঘরে চিকিৎসা পোঁছে দিয়েছি। এখনও এ কাজ চলছে।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনায় অসংখ্য চিকিৎসক-নার্সের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও প্রাণ হারিয়েছেন। সর্বশেষ বরেণ্য সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান মারা গেছেন, শুরুর দিকে সাংবাদিক হুমায়ুন কবির মারা গিয়েছেন। সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও জীবন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে। করোনাকালীন সময়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ার কারণে তাদের ঝুঁকিটা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই শুরুতেই যেন সাংবাদিকরা ভ্যাকসিন পায়, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি করোনার সময়ে সব সাংবাদিকদের করোনা পরীক্ষা করিয়েছে। সামনে ভ্যাকসিন এলে আমরা সাংবাদিকদের জন্য এখানে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চাই। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

টিআই/এসএম