দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও আট রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত সাড়ে আট মাসে এটি সর্বনিম্ন মৃত্যু। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৯৫০ জনে। এর আগে গত ৯ মে আট জন মারা যান।

একই সময়ে দেশে নতুন করে আরও ৬৫৬ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৬৮৭ জনে। 

বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন আরও ৬১৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭২ জন হয়েছে।

মারা যাওয়া ৮ জনই পুরুষ। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এর মধ‌্যে ঢাকায় ৭ জন ও চট্টগ্রামে রয়েছেন ১ জন।  

মারা যাওয়াদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৬০ বছরের ওপরে পাঁচজন রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিন জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর দেশে ভাইরাসটিতে প্রথম মৃত্যু হয়। প্রথম মৃত্যুর তিন দিন পর করোনায় দ্বিতীয় মৃত্যু হয় ২১ মার্চ। এরপর ২৩, ২৪ ও ২৫ মার্চ টানা তিন দিনে তিন জনের মৃত্যু হলেও মার্চ মাসে ভাইরাসটিতে আর কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

১ এপ্রিল মৃত্যু হয় আরেকজনের। মৃত্যুশূন্য থাকে ২ ও ৩ এপ্রিল। ৪ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দেশে দুজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে আর এমন কোনো দিন যায়নি, যেদিন করোনায় দেশে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ জনের নিচে থাকলেও, ১৬ এপ্রিল প্রথমবারের মতো করোনায় দুই সংখ্যার মৃত্যু দেখে বাংলাদেশ। ১৭ এপ্রিল ছাড়িয়ে যায় মানুষের কল্পনাকেও, ওইদিন দেশে করোনায় ১৫ জনের প্রাণহানি হয়।

এরপর ১০ মে ১৪ জনের মৃত্যুর পর আজকের আগ পর্যন্ত করোনায় সিঙ্গেল ডিজিটের কোনো মৃত্যু হয়নি। ভাইরাসটিতে প্রথম ২০-এর অধিক মৃত্যু হয় ১৮ মে, সেদিন দেশে ২১ জনের প্রাণহানি ঘটে। ৩১ মে প্রথমবারের মতো দেশে ৪০ জনের মৃত্যু হয় এ ভাইরাসে। ৫০ ছাড়ায় ১৬ মে, সেদিন মৃত্যু হয় ৫৩ জনের। ৩০ জুন দেশের মানুষ করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটে, সেদিন এ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নেয় ৬৪ জনের।

মূলত ২৯ মে থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু একদিনের জন্যও ২০ জনের নিচে নামেনি। প্রায় চার মাস ১০ দিন পর ৯ অক্টোবর করোনায় মৃত্যু ২০-এর নিচে নেমে আসে, সেদিন দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। 

এসআরএস/এফআর