৪৬৩টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণে ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত দুর্যোগ সহনীয় ঘর/ ফাইল ছবি
দেশের তিন জেলায় ৪৬৩টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণের জন্য আট কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ অর্থ বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
এর মধ্যে ফরিদপুর জেলায় ২৬১টি, ঝিনাইদহ জেলায় ১৮২টি এবং কুড়িগ্রাম জেলায় নির্মাণ করা হবে ২০টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর।
বিজ্ঞাপন
বরাদ্দপত্রে বলা হয়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে মুজিব শতবর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন ‘ক’ শেণির ৪৬৩টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণে মোট সাত কোটি ৯১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘরের মালামাল পরিবহনে ঘরপ্রতি চার হাজার টাকা হারে সবমিলিয়ে মোট আট কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বরাদ্দ হওয়া অর্থ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুকূলে উপ-বরাদ্দ প্রদান, শর্ত এবং নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসকদের বলা হয়। এছাড়া দেওয়া হয় কিছু শর্ত।
বিজ্ঞাপন
শর্তগুলো হলো-
এ অর্থ উত্তোলন ও কাজ বাস্তবায়নের সময়সীমা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নগদ টাকায় ‘দুর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ’ কর্মসূচির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে জারি করা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
ঘর নির্মাণে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের অনুকূলে দুই শতাংশ খাস জমির ব্যবস্থা করে একক গৃহ নির্মাণ কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প থেকে অনুমোদিত নকশা ও প্রাক্কলন অনুযায়ী মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে টেকসই দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করতে হবে।
এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ‘মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর প্রদান নীতিমালা ২০২০’ অনুসরণ করতে হবে। এ কর্মসূচির অর্থ ব্যয়ে প্রচলিত সকল আর্থিক বিধি-বিধান অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন না হলে প্রকল্প বাতিল করা এবং দায়ী ব্যক্তিদেরকে চিহ্নিত করে বরাদ্দ হওয়া অর্থ ফেরত নেওয়াসহ প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রচলিত নিয়মে প্রকল্প কাজের ভাউচার বা মাস্টার রোল নিরীক্ষার জন্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
এসএইচআর/এফআর