ডিএনসিসি-ভারতীয় দূতাবাসের ক্রিকেট ম্যাচ
ডিএনসিসি ও ভারতীয় দূতাবাসের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে উদয়াচল পার্কের উদ্বোধনের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে উদয়াচল পার্ক মাঠে এ প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
টুয়েন্টি-টুয়েন্টি এই ম্যাচে ডিএনসিসি ১৭২ রানে ভারতীয় হাইকমিশনকে হারায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ডিএনসিসি ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রান করে। ডিএনসিসি দলের ইমন ১০৫ রান এবং আল আমিন ১০১ রান করে। জবাবে ভারতীয় হাইকমিশন ১৩ ওভার ব্যাট করে ১২৮ রান করে অল আউট হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবার ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী। খেলা-পাগল তার পরিবার। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কাছ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় মাঠ ও পার্ক উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এই পার্কটি তারই ধারাবাহিকতায়।
মেয়র শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমরা যখন ছোট ছিলাম, ক্রিকেট খেলার জন্য আশপাশের ঘরে-ঘরে গিয়ে চাঁদা তুলে ব্যাট কিনেছি, প্যাড কিনেছি। তখন আমাদের জন্য একটি ব্যাট, একটি প্যাড অনেক টাকা, অনেক দাম ছিল। তবে তখন এক ধরনের সামাজিক বন্ধন ছিল। এই সামাজিক বন্ধন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন একটি অ্যাপার্টমেন্টে, চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী হয়ে গিয়েছি। আমাদের সামাজিকতা কমে যাচ্ছে। ভালোবাসার বন্ধন কমে যাচ্ছে। আমাদের সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় করতে হবে। আমরা যেন পাড়ায় উৎসব করতে পারি, খেলাধুলা করতে পারি। এর মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়। এজন্য আমি এই মাঠটি এই এলাকার জনগণকে দিতে চাই। এখানে ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষ, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এসে খেলতে পারবেন। এই মাঠ সকলের।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ঢাকা শহরকে উন্নত করতে হবে- এটা আমাদের সবার প্রত্যাশা। কিন্তু যেখানেই হাত দিচ্ছি, সেখানেই অবৈধ দখলদারকে দেখতে পাচ্ছি। খাল, মার্কেট, রাস্তাঘাট, মাঠ সর্বত্র অবৈধ দখলদার। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমাদেরকে সুন্দর খেলার মাঠ, সুন্দর খাল, রাস্তাঘাট রেখে যেতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা।
মেয়র বলেন, ডিএনসিসির থেকে দশটি ক্রিকেট খেলার মাঠ আমরা করে দিচ্ছি। কিছু কিছু মাঠ আন্তর্জাতিক মানের হবে। মাঠে ক্রিকেটের পাশাপাশি অন্যান্য খেলাধুলাও করা যাবে। এই মাঠে বর্ষায় যাতে খেলা যায়, এজন্য পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যায়ামাগারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর করাই আমাদের লক্ষ্য।
মেয়র আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। আমাদের প্রাণ দিতে হবে না, খেলার-মাঠ যেন আমরা দখল না করি, খাল যেন ময়লা না করি, যেন অবৈধভাবে দখল না করি। মোহাম্মদপুরে মোট আটটি মাঠ হবে। ডিএনসিসির কোথাও খাস জমি থাকলে সেখানে খেলার মাঠ তৈরি করা হবে। যত বেশি খেলার মাঠ হবে, আমাদের শিশুরাও তত বেশি খেলতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি, এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া স্থপতি ইকবাল হাবিব, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাষ্টন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শাহীন আক্তার সাথী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এএসএস/এইচকে