গ্রেপ্তারের প্রতীকী ছবি

কখনও প্রেমিকা আবার কখনও সাংবাদিক কিংবা পুলিশ সেজে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিল একটি চক্র।

এমন অভিযোগে চক্রটির বিরুদ্ধে রোববার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আবিদা সুলতানা তন্নি (২২), আফরোজা আসাদ ওরফে কনা (৩৬) ও মাসুম খাঁন (৩৬)।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরার পূর্ব থানাধীন ৪নং সেক্টর এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা টার্গেটকরা ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদাবাজি করত।’

পুলিশের এ সহকারী কমিশনার বলেন, ‘চক্রটির সদস্যরা প্রথমে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করত। এরপর প্রেমের অভিনয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে গিয়ে চাঁদাবাজ চক্রের নারী সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করত। ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো। এছাড়া এই চক্রের সদস্যরা কেউ সাংবাদিক, কেউ পুলিশ অফিসার সেজে আবার কখনও চাকরি দেয়ার নাম করে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করত। তারা প্রতারণা ও চাঁদাবাজির টোপ হিসেবে নারী সদস্য আবিদা সুলতানা তন্নিকে ব্যবহার করত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগী এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

চক্রটির পলাতক অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এমএসি/এফআর