পৌরনির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ছুটি থাকছে না
আগামী ৩০ জানুয়ারি (শনিবার) তৃতীয় ধাপে দেশের ৬২টি পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ৬২টি পৌরসভায় থাকছে না সাধারণ ছুটি।
তবে ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-৪ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী তৃতীয় ধাপে ৬২টি পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের দিন ৩০ জানুয়ারি শনিবার সাধারণ ছুটি ব্যতীত নির্বাচনী এলাকার অধীন যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার বা নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হল। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী পৌরসভা, উপজেলা এবং জেলার অধীন অন্যান্য দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হল।’
বিজ্ঞাপন
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী-তৃতীয় ধাপে মেয়র পদে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন ২৮৭ জন। বাছাইয়ে বাতিল হয়েছিল ৩০ জনের মনোনয়ন। তখন বৈধ প্রার্থী ছিল ২৫৭ জন। তবে আপিল শুনানি শেষে বৈধ প্রার্থী ছিল ২৫৯ জন। এই ধাপে মেয়র পদে ৩০ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ২২৯ জন।
সংরক্ষিত নারী কমিশনার পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৭৯৩ জন। বাছাইয়ে ২১ জনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর প্রার্থী ছিল ৭৭২ জন। আপিল শুনানি শেষে প্রার্থী ছিল ৭৬৮ জন। প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১৩ জন। ফলে এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৭৫৫ জন।
আর সাধারণ কমিশনার পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন দুই হাজার ৬৩৫ জন। বাছাইয়ে ১১৬ জনের মনোনয়ন বাতিল হলে প্রার্থী ছিল দুই হাজার ৫১৯ জন। আপিল শুনানি শেষে প্রার্থী ছিল দুই হাজার ৫৩৭ জন। প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১৭৬ জন। ফলে এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন দুই হাজার ৩৬০ জন প্রার্থী।
গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভায় ১৬ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া চতুর্থ ধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারি ৫৬ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এসএইচআর/জেডএস