প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীর পেছন থেকে কিশোরীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামি দোষ স্বীকার করেছেন। তাকে আমরা কোর্টে চালান করি এবং ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছি। তার নাম আবুল খায়ের (৩০)। সে শহীদ মিনার এলাকায় ভাসমান হিসেবে থাকতেন এবং পটুয়াখালীর বাসিন্দা।

ঘটনার বিষয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, শহীদ মিনারের পেছনে তিন মেয়ে ও এক ছেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে বিবস্ত্র ও অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীকে পাওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ তিন কিশোরী এবং এক ছেলেকে আটক করে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে আটক করা তিন কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওসি আরও জানান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, মৃত মেয়েটি ওই তিন কিশোরীর বান্ধবী। তারা শহীদ মিনার এলাকায় ভাসমান অবস্থায় থাকে। ওই কিশোরীসহ চার বান্ধবী মাতলামি করছিল। এই সুযোগে খায়ের ওই কিশোরীকে খারাপ প্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

উল্লেখ্য, শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৩টার দিকে ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এফআর