রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) আত্মীয় শংখ বেপারীকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

রোববার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। 

গত ৪ জানুয়ারি (সোমবার) দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির তলবে হাজির হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর শংখ বেপারীকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ বিষয়ে দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, শংখ বেপারী পি কে হালদারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন এবং তার দখলে একটা ফ্ল্যাট পাওয়া গেছে। যেটি পি কে হালদারের অর্থে কেনা। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদার ওই প্রতিষ্ঠানসহ পিপলস লিজিং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন। 

ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের পরপরই প্রশান্ত কুমার হালদারের নাম উঠে আসে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর হাজির হতে নোটিশ দিয়েছিল সংস্থাটি। ৩ অক্টোবর তার বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ঠিকই দেশ থেকে পালিয়েছেন। পরে দেশে আসার কথা বলেও আর আসেননি। এরমধ্যে গত ৮ জানুয়ারি দুদকের অনুরোধে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা দিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ইন্টারপোল। 

পি কে হালদারের প্রতারণায় সহায়তাকারী ২৪ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আর দুদক এখন পর্যন্ত সহযোগী হিসাবে ৬২ জনকে শনাক্ত করেছে দুদক। 

আরএম/জেডএস