লক্ষ্মীবাজারের সেই মার্কেটের জায়গায় হবে খেলার মাঠ
বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই মার্কেটটি/ ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষ থেকে গুঁড়িয়ে দেওয়া লক্ষ্মীবাজারের সেই অবৈধ মার্কেটের জায়গায় খেলার মাঠ করার নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) নগর ভবনে দাপ্তরিক এক বৈঠকে ডিএসসিসি মেয়র করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী ও প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমানকে এই নির্দেশনা দেন।
বিজ্ঞাপন
নির্দেশনা প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ঢাকা মহানগরের খেলার মাঠের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফলে জনস্বাস্থ্য বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ডিএসসিসি মেয়রের নির্দেশনায় আমরা দ্রুত খেলার মাঠ গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু করব।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশন) থেকে ১৯৯৫ সালে কার পার্কিংয়ের নামে লক্ষ্মীবাজার এলাকায় ১০ দশমিক ০৮ শতক জায়গা বরাদ্দ নিয়েছিল জনৈক বিল্লু নামের এক ব্যক্তি। ইজারার টাকা দুই কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা থাকলেও প্রথম কিস্তি পরিশোধের পর সময় মতো দ্বিতীয় কিস্তি পরিশোধ না করায় করপোরেশন ১৯৯৫ সালে তার ইজারা বাতিল করে। এতে জনৈক বিল্লু সংক্ষুব্ধ হয়ে দেওয়ানী আদালতে ইজারা বাতিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং কার পার্কিং থাকা অবস্থায় তাকে উচ্ছেদের বিপক্ষে আদালত থেকে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আনতে সক্ষম হন।
বিজ্ঞাপন
পরে বর্ণিত কার পার্কিংয়ের জন্য ইজারা নেওয়া জায়গায় বিল্লু গড়ে তোলেন অবৈধ মার্কেট। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি করপোরেশনকে কোনো অর্থ পরিশোধ না করলেও বহাল তবিয়তে ভোগ করে আসছিলেন এই অবৈধ সম্পাদলব্ধ অর্থ-বিত্ত।
অবশেষে গত বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭৩-৭৪ সুভাষ বোস অ্যাভিনিউের লক্ষ্মীবাজার মেইন রোড সংলগ্ন অবৈধ মার্কেটটি উচ্ছেদ করেন। উচ্ছেদ অভিযানে আনুমানিক ৪০টি কাপড়ের দোকান ও কাঁচা বাজার গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
এএসএস/এফআর