সংসদে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা / ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন আমরা ইভিএমে মাধ্যমে ভোট দিচ্ছি। তাই কারচুপি করার কোনো সুযোগ নাই। যার যার ভোট সে নিজে দিচ্ছে। এখন আর ‘১০ হোন্ডা ২০টা গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা’ সে পদ্ধতি নাই বা ভোট হয়ে গেছে যখন জিতে গেছে, ভোট বন্ধ একটা ঘোষণা করে দিল, সেটাও এখন আর নাই।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনা ও সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, পচাত্তরের পর এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ছিল না। অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হয়েছিল। বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে জিয়াউর রহমান এককভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি যখন একটা দলের নেতা, স্বাভাবিকভাবে তাদের ওপর মানুষের আস্থা-বিশ্বাস থাকে না। মানুষ এখন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সেবা পাচ্ছে, দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণ হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে মানুষের আস্থা বিশ্বাস আওয়ামী লীগ অর্জন করেছে। যার প্রতিফলন দেখলাম স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে। মানুষ এখন আন্তরিকভাবে ভোট দিচ্ছে।

সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত, তখন পাঁচবার সারা বিশ্বে দুর্নীতিতে এক নম্বর হয়েছিল। দুর্নীতির দায়ে এতিমের অর্থ আত্মসাৎতের দায়ে যাদের কারাবরণ করতে হয়। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারির মামলা, গ্রেনেড হামলা করে প্রকাশ্যে দিবালোকে বিরোধী দলকে হত্যা বা আমাকে হত্যার প্রচেষ্টার মামলা– এসব মামলায় যারা সাজাপ্রাপ্ত এরা যখন কোন দলের নেতৃত্বে থাকে সেই দল জনগণের কাজ করবে কিভাবে? 

তিনি বলেন, মুজিববর্ষে মুজিবের বাংলাদেশের কেউ গৃহহীন থাকবে না, ঠিকানা বিহীন থাকবে না। 

এইউএ/এসএম