পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন গত বছর বাংলাদেশ সফরে এসে এমন স্বীকৃতি দিয়েছেন। করোনাকালে বিশ্ব যখন হিমশিম, তখন বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা এবং জীবন-জীবিকা সচল রাখতে নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে করোনার সময়েও একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে টিকা নিতে হবে-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বিএনপি সরকারেও ব্যর্থ, তারা রাজপথেও ব্যর্থ। করোনার টিকা নিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘করোনার টিকা আগে প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে’। মন্ত্রীসভার সদস্যগণ যখন টিকা গ্রহণ শুরু করলেন, তখন আবার তারা বলতে শুরু করেছেন, ‘শুধু সরকারি দল টিকা নেয়, বিরোধী দলকে দেয় না’। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঠিক পদক্ষেপের কারণেই দ্রুত দেশে টিকা এসেছে। ইতোমধ্যে ৫৪টি জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। আগামী ৭ তারিখ থেকে টিকাদান শুরু হবে।

এনামুল হক শামীম ‘বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেও সাংবাদিকতা করতেন। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। সাংগঠনিক কল্যাণে তিনি সব সময় এগিয়ে এসেছেন। সাংবাদিকদের কল্যাণ ফান্ড, আবাসনের ব্যবস্থা, দুর্যোগকালীন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। অসুস্থ সাংবাদিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। কে কোন দল করেন সেটা বিবেচনায় নেন না, যেকোনো অসহায় সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ান। এ করোনাকালেও তিনি সাংবাদিকদের বিশেষ ভাতা দিয়েছেন। সাংবাদিকদের কল্যাণ ফান্ডে টাকা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণেই দেশে বেসরকারি খাতে টেলিভিশন ও পত্রিকা, রেডিও দিয়েছেন। এতে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আবার সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেওয়া হয়েছে।

সরকারের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, দেশের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে শক্তিশালী গণমাধ্যম দরকার। সরকার কোনো ভুলত্রুটি করলে সেগুলো তুলে ধরুন। আবার সরকারের সাফল্যগুলোও জনগণকে জানান। সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজগুলো তুলে ধরলে সবার উপকার হয়।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে রোল মডেল উল্লেখ করে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শামীম বলেন, চতুর্থ বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা হ্যাট্রিক প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীতে আর কেউ নেই। তার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততায় সেরা, নেতৃত্বে সেরা, যোগ্যতায় সেরা, মানবিকতায় সেরা। তিনি সেরাদের সেরা প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক। বিরোধী দলের রাজনীতির সময়ে অনেক সাংবাদিক বন্ধুর সহায়তা পেয়েছি, এখনও পাই। সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ক্ষণিকের নয়, স্থায়ী। কারণ একজন রাজনীতিবিদের উত্থান পতনে সাংবাদিকদের ভূমিকা থাকে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি ওসমান গনি বাবুলের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির উপদেষ্টা ডা. মনিলাল আইন লিটু, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, কল্যাণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।

এইউএ/এমএইচএস