প্রযুক্তি শিক্ষায় হবে তিনশ ‘স্কুল অব ফিউচার’
উৎসবের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে/ ছবি- ঢাকা পোস্ট
শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে ৩০০টি ‘স্কুল অব ফিউচার’ গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শিশুদের আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩০০ স্কুল অব ফিউচার গড়ে তোলা হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, স্কুলগুলোর মাধ্যমে আমাদের সন্তানেরা অ্যানিমেশন, রোবটিক্সসহ আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হবে। এছাড়া দেশে ১২টি হাইটেক পার্ক সিনেপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। শিশুদের নির্মিত চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক মানের হলে হাইটেক পার্কের সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
চলচ্চিত্রকে সৃজনশীল শক্তিশালী একটি মাধ্যম ও সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এর মাধ্যমে প্রগতিশীল সমাজ গঠন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সন্তানদের ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করা সম্ভব।
বিজ্ঞাপন
এ ধরনের আয়োজনের প্রশংসা করে পলক বলেন, বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে বলেই এত বাধা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা এ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালকে সফলভাবে আয়োজন করেছে। আমাদের সন্তানদের মেধার ঘাটতি নেই। দরকার শুধু একটি সুযোগের। তাদের সুযোগ করে দিতে হবে।
এ সময় তিনি চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। শিশুদের ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের জন্য যেন শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম পাওয়া যায় তার জন্য তিনি তথ্যমন্ত্রী, সংস্কৃতিমন্ত্রী ও প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করার কথা জানান।
সমসাময়িক বিষয়ে পলক বলেন, একটি কুচক্রী মহল দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশের বিরুদ্ধে আসা সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ক্ষুদে নির্মাতা ও কলাকুশলীরা অবদান রাখবে।
এ সময় তিনি সংগঠনটিকে ৫০ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ চিলড্রেন্স সোসাইটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সাতটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
গত ৩০ জানুয়ারি থেকে সাত দিনব্যাপী আয়োজিত এ উৎসবের ৩টি ভেন্যুতে ৩৭টি দেশের ১৯৭টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
একে/এইচকে