প্রথম দিনের টিকা নেওয়ার বিষয়ে যারা এখনও কোনো বার্তা বা এসএমএস পাননি, রাতেই তাদেরকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে সারাদেশে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তবে প্রথম দিনে যারা টিকা নেবেন, তাদের অনেকেই এখনও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোনো বার্তা বা এসএমএস পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, দেশজুড়ে রোববার সকাল ৯টায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। চলবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। তবে কাল যেহেতু টিকাদান শুরু হচ্ছে, তাই কাল এই সময় পরিবর্তন হতে পারে।

তিনি বলেন, শুরুর দিনে সারাদেশে এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। এজন্য ২ হাজার ৪০২ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজধানীর ৫০টি স্থানে টিকাদান হবে। এছাড়া সারাদেশের ৯৫৯টি হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রথম ধাপের টিকা কবে নাগাদ শেষ হবে এবং দ্বিতীয় ধাপ কবে শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। এখানে প্রথম বা দ্বিতীয় ধাপ নেই, এটা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

কারা টিকা পাবেন না এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, যারা করোনা আক্রান্ত তারা চার সপ্তাহ পার না হওয়া পর্যন্ত টিকা নিতে পারবেন না। যাদের ওষুধে অতিরিক্ত অ্যালার্জি আছে, তাদের টিকা দেওয়া হবে না। এছাড়াও ১৮ বছরের নিচে, গর্ভবতী মা এবং এই মুহূর্তে যারা বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তারাও টিকা নিতে পারবেন না।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সাবরিনা ফ্লোরা, অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, এমআইএসের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান প্রমুখ।

২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার একশ ৯০ জনে। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩০৫ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৭০ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন করে ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হয়েছেন ৪১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ জন।

টিআই/জেডএস