গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক রূপ-রূপান্তর ঘটেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধুর খুনি ও স্বৈরশাসক এবং পাকিস্তানপন্থী রাজনীতিবিদদের হাতে এর অপমৃত্যু ঘটে। গণ মানুষের পক্ষে গণমাধ্যমের অবস্থান ছিল বিপরীতমুখী। নৈতিক প্রশ্নে ছিল দ্বিধান্বিত এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ছিল না বললেই চলে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মিডিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা তৈরি হয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সত্যনিষ্ঠ প্রিন্ট ও টিভি চ্যানেল এবং সামাজিক ন্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনলাইন গড়ে ওঠে। অপরদিকে ২০০৯-২০২০ সাল পর্যন্ত গণমাধ্যমে কর্পোরেট মালিকানার প্রাধান্য পরিলক্ষিত হলেও তথ্য পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সাংবাদিকতায় উৎকর্ষ অর্জিত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ২০২১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে। গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বিভিন্ন ঘটনাক্রমের পর্যালোচনা করলে একটি স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়।

২০২০ সালে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে বলে প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘রিপোটার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)’র বার্ষিক সূচকের মতামত আমরা অবগত হয়েছি। সূচকে থাকা ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১তম। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫০তম। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন বলতে মাঠ পর্যায়ে সংবাদকর্মীদের ওপর রাজনৈতিক কর্মীদের হামলা, নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ, সাংবাদিক গ্রেফতার এবং হত্যার ঘটনা বেড়েছে বলা হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বিচারিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগও এসেছে। এই আইনে নেতিবাচক প্রচারণার শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড। প্রগতিশীল তথা ধর্মনিরপেক্ষ মত ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে গিয়ে উগ্রবাদী ইসলামপন্থীদের হয়রানি, এমনকি হত্যার শিকারে পরিণত হয়েছেন সংবাদকর্মীরা। এর মধ্যেও গত ১২ বছরে শেখ হাসিনার শাসনামলে এদেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক সাফল্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন, ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল বাংলাদেশের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দুই ধাপ এগিয়ে ১৪৪তম হয়েছিল। অথচ ২০১৫ ও ২০১৪ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৬তম।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন বলতে মাঠ পর্যায়ে সংবাদকর্মীদের ওপর রাজনৈতিক কর্মীদের হামলা, নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ, সাংবাদিক গ্রেফতার এবং হত্যার ঘটনা বেড়েছে বলা হয়। ...চরম নির্যাতনের শিকার হয়েও প্রচলিত আইনের আওতায় দীর্ঘমেয়াদি আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো সময় ও অর্থ অনেক সাংবাদিকের নেই।

মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ভাল হলেও উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল বিশ্বব্যাপী সরকার ও ব্যবসায়ীদের চাপে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আরও বেশি খর্ব হয়েছে। এছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করে অপপ্রচারের একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। কর্পোরেট সুবিধার কথা ভেবেও গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করা শুরু করেছে। অর্থাৎ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের এ সময়েও দেখা যায় বিশ্বের প্রায় ৭৭টি দেশে এখনও স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশেও কায়েমি স্বার্থ বাদী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর দুর্নীতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও অপকর্মের খবর পরিবেশন করার জন্য অনেক সাংবাদিক প্রতিনিয়ত নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হন। অবশ্য বিএনপি-জামায়াত আমলে গণমাধ্যমের করুণ দশা সকলেরই জানা।

বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট, জার্নালিজম এন্ড কমিউনিকেশন (বিসিডিজেসি)’র জরিপে দেখা যায়, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে দেশে দু’শতাধিক সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হন ২৮৫ জন সাংবাদিক। কেবল ২০০১-এর অক্টোবর-ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৮টি ঘটনায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪৯ জন সাংবাদিক। চরম নির্যাতনের শিকার হয়েও প্রচলিত আইনের আওতায় দীর্ঘমেয়াদি আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো সময় ও অর্থ অনেক সাংবাদিকের নেই। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গণ মানুষের তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বহুল প্রত্যাশিত ‘তথ্য অধিকার অধ্যাদেশ’কে আইনে পরিণত করে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। উপরন্তু সাংবাদিক সমাজের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এই সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আসলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরও ভাল হবে যদি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমকে কার্যকর ভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয়।

আমাদের দেশের মতো গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা আর আইনের শাসনকে যারা বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনে ধৃষ্টতা রাখে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম তাদের সমুচিত জবাব দিতে পারে। তবে এটাও সত্য কোনো কোনো গণমাধ্যম কর্মী নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য স্বেচ্ছাচারীর ভূমিকা পালন করেন। তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অপব্যবহার করে ক্ষেত্র বিশেষে গ্রহণযোগ্যতা ও অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে কেউ কেউ বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করে দেশদ্রোহী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। আজ বিশ্বব্যাপী একথা স্বীকৃত যে, গণমাধ্যমের মাধ্যমেই নিজেদের পরিশীলিত করা যায়। এজন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

সাধারণ মানুষের তথ্য প্রাপ্তির অন্যতম উৎস হল গণমাধ্যম। বলা হয়ে থাকে, গণমাধ্যম জনগণের মতামতকে ঠিক করে দেয়। অর্থাৎ গণমাধ্যমের এজেন্ডা পাবলিক এজেন্ডায় পরিণত হয়।

গণমাধ্যমই সর্বপ্রথম করোনা মহামারিতে শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনাসমূহ ব্যাপকভাবে প্রচার করে জনসচেতনতা তৈরি করেছে। মানুষের ভেতর আতঙ্ক সৃষ্টি না করে মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে কোভিড-১৯-কে মোকাবেলায় স্বাস্থ্য কর্মীদের উৎসাহ জুগিয়েছে গণমাধ্যম। এমনকি স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির খবর নির্ভীক ভাবে প্রকাশ করে সরকারকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া গণমাধ্যম সর্বপ্রথম শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এদেশের বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে দ্রুত বিচারের সক্ষমতা এবং আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর সিলেটে শিশু রাজন ও খুলনায় শিশু রাকিবকে পৈশাচিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে। রাজন হত্যার চার মাস এবং রাকিব হত্যার তিন মাস পাঁচ দিনের মাথায় ছয় আসামিকে ফাঁসি দেওয়ার দুটি রায় এবং নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় মামলার গতি ত্বরান্বিত হওয়ায় সব মহলই খুশি। গণমাধ্যমের কল্যাণেই এসব মামলার দ্রুত বিচার সম্পন্ন হচ্ছে এবং দেশে অপরাধের মাত্রা অনেক কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি, শিশু হত্যাকাণ্ড, ব্লগার এবং হিন্দু-খ্রিস্টান পুরোহিত খুন, বিদেশি হত্যাকাণ্ড, লেখক ও প্রকাশক খুন, জঙ্গিবাদীদের অপতৎপরতাসহ বড় ধরনের অপরাধ আমাদের সমাজে নানা কারণেই বেড়েছে। তবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কাজটি চলছে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে। ইতোমধ্যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় কার্যকর করায়; যদিও কয়েকজন অপরাধীকে এখনো ফাঁসিতে ঝোলানো সম্ভব হয়নি।

১৯৭৫ সালের ১৬ জুন পাস হওয়া ‘নিউজ পেপার ডিক্লারেশন এনালমেন্ট অর্ডিন্যান্স’ নামে আইনটি করা হয়েছিল তখনকার সাংবাদিক নেতাদের পরামর্শে। এর আগ পর্যন্ত সাংবাদিকদের কোনো বেতন কাঠামো ছিল না। মালিকরা সাংবাদিকদের নিয়মিত বেতন দিতেন না। বঙ্গবন্ধু এসব জানতেন। এজন্য ৭৫ সালের ১৬ জুনের পর যেসব পত্রিকা বন্ধ করা হয় তিনি সেসব সাংবাদিক-কর্মচারীর বেতন নিশ্চিত করেছিলেন। তারা এক তারিখ ট্রেজারিতে গিয়ে বেতন নিয়ে আসতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘নেশন মাস্ট বি ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট করাপশন। পাবলিক ওপিনিয়ন মবিলাইজ না করলে শুধু আইন দিয়ে করাপশন বন্ধ করা যাবে না।’ গণসচেতনতা তৈরিতে মিডিয়ার ভূমিকা বঙ্গবন্ধুর আমল থেকেই গুরুত্বের সঙ্গে স্বীকৃত।

স্বাধীনতার আগে প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সংবাদ এবং বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন ঐতিহাসিক নানা ঘটনাক্রমে বাংলাদেশের অন্যতম গণমাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করে এসেছে। স্বাধীনতার পর এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ত্রিশের অধিক টিভি চ্যানেল, দুইশ’র অধিক সংবাদপত্র এবং কয়েক হাজার অনলাইন নিউজ পোর্টাল। কিন্তু মুদ্রণ ও সম্প্রচার মাধ্যমের নবজন্ম হলেও বিগত কয়েক দশকে বিশ্বায়নের প্রভাবে এদেশের গণমাধ্যমে নানাবিধ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দেশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও বিরোধী পক্ষের স্পষ্ট বিভাজন চিহ্নিত হয়েছে।

মনে রাখতে হবে, ‘বাংলার বাণী’ এবং ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। সত্য প্রকাশে নির্ভীক ছিল এর সাংবাদিকরা। পাশাপাশি রুচিশীলতা, সংস্কৃতি মনস্কতার পরিচয় দেয় পত্রিকা দুটি। এরই ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যম প্রকাশনায় আসে রূপান্তর। ৯০-এর দশকে ‘জনকণ্ঠ’ দেশের বিভাগীয় শহরগুলো থেকে বের হলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে সংবাদপত্র জগতে। পরে ‘ভোরের কাগজ’, ‘প্রথম আলো’ প্রভৃতি পত্রিকা রুচিশীল পাঠক তৈরিতে সক্ষম হয়। কেবল পাঠক সৃষ্টি নয়, জনসচেতনতা তৈরি ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম সাফল্য দেখায়।

২০২১ সালের সুবর্ণ জয়ন্তীতে মনে রাখতে হবে ন্যায়বিচারের নজির সাধারণ মানুষকে যেমন আইনের শাসনের ব্যাপারে সচেতন করে তোলে তেমনি গণমাধ্যম সেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়ে ওঠে। এজন্য প্রচলিত বিচার কাঠামোর ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের তথ্য প্রাপ্তির অন্যতম উৎস হল গণমাধ্যম। বলা হয়ে থাকে, গণমাধ্যম জনগণের মতামতকে ঠিক করে দেয়। অর্থাৎ গণমাধ্যমের এজেন্ডা পাবলিক এজেন্ডায় পরিণত হয়। সমাজে নানা ঘটনার মধ্যে কোনটি বেশি আলোচিত হবে বা গুরুত্ব পাবে গণমাধ্যমই তা নির্ধারণ করে দেয়। এর মধ্যে সহজবোধ্য ও দ্রুততম তথ্য প্রাপ্তির উৎস হিসেবে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া একধাপ এগিয়ে। অতীত এবং বর্তমানের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যম বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাবে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর জন্য গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা যেমন নিশ্চিত করতে হবে তেমনি স্বাধীনভাবে কাজ করার যাবতীয় দিক উন্মোচন করা দরকার। তাহলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার গতি আরও ত্বরান্বিত হবে। আর সুশাসন সুমন্নত অবস্থানে পৌঁছালে তার মাধ্যমেই বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরও ভাল হবে।

মিল্টন বিশ্বাস ।। অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

drmiltonbiswas1971@gmail.com