বন্যায় ডুবেছে সিলেটসহ দেশের অসংখ্য জেলা। বানভাসি মানুষের কষ্ট সহ্য করা যাচ্ছে না। মনে হয় প্রকৃতি শোধ নিচ্ছে। অথচ পরিবেশ দূষণ রোধ ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ৫ জুন পালন করা হয়েছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই বছর বিশ্বব্যাপী খরা তথা মরুকরণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যই আন্তর্জাতিকভাবে ১৭ জুন বিশ্ব মরুকরণ ও খরা মোকাবিলা দিবস পালন করা হয়। 

এবারের পরিবেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘একটি মাত্র পৃথিবী’ (অনলি ওয়ান আর্থ)। প্রতিপাদ্যের মূল কথা হচ্ছে, মহাবিশ্বে পৃথিবী নামের এই গ্রহ ছাড়া আমাদের বসবাসের জন্য আর অন্য কোনো জায়গা নেই। কাজেই একে আমাদের বসবাসযোগ্য রাখা একান্ত প্রয়োজন।

জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য হ্রাস ও দূষণ আমাদের বর্তমানে বড় ধরনের তিনটি সমস্যা—যার মূল কারণ আমরাই। মরুকরণ ও খরা–দুটিই হচ্ছে বৈশ্বিক সমস্যা। ১৯৮২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাত্র ৩৩ বছরে পৃথিবীর ছয় শতাংশ ভূমির মরুকরণ হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মরুকরণ ও খরা—বর্তমানে বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির জন্য বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাতিসংঘের দেওয়া সংজ্ঞানুসারে, ‘মরুকরণ হচ্ছে শুষ্ক, প্রায় শুষ্ক কিংবা নিম্ন আর্দ্রতাযুক্ত অঞ্চলে ভূমির ক্রমাগত অবনয়ন, যা প্রাকৃতিক কিংবা মানুষের কর্মকাণ্ডজনিত কারণে প্রধানত ঘটে থাকে। আর খরা হচ্ছে কোনো একটি অঞ্চলে বহু বছরের গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হওয়া।’

বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিবেদন ও কিছু গবেষণা প্রবন্ধে দেশের বেশকিছু এলাকায় ভূমির স্বাস্থ্য ভালো নেই বলে জানানো হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিক্ষয়, যশোর জেলার জলাবদ্ধতা ও দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততার কারণে এসব জায়গায় ভূমির অবনয়ন ঘটেছে। এছাড়া দেশের অনেক এলাকার জমি নানা ধরনের দূষণের শিকার।

২০২১ সালে ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকা ছিল ১৩৭তম। বায়ুদূষণে ঢাকার নাজুক অবস্থার পর যে খবর নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে, তা হলো শব্দ দূষণে এই শহর বিশ্বের শীর্ষ স্থানে থাকা।

বিখ্যাত এলসিভিয়ার গ্রুপের একটি জার্নালে (এগ্রিকালচারাল ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট) ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে দেশের উত্তরাঞ্চলে খরার তীব্রতা, পৌনঃপুনিকতা ও পরিবর্তনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

বিশেষ করে পাহাড় থেকে মাটি কাটা, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, বৃক্ষ নিধন বন্ধ করা; জমিতে লবণ পানি ঢুকতে না দেওয়া; প্রভৃতি দূষণের উৎসগুলো আটকানো দরকার। খরাপীড়িত উত্তরাঞ্চলে খরাসহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে উৎসাহ প্রদানসহ পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা করা জরুরি।

এছাড়া বর্ষা মৌসুমে পদ্মা ও তিস্তার পানি দিয়ে কৃত্রিম জলাধার নির্মাণপূর্বক শুষ্ক মৌসুমে তা ব্যবহারের চিন্তা করা যেতে পারে (বিধান চন্দ্র দাশ, কালের কণ্ঠ, ১৭ জুন ২০২২)। খরা ও ভূমির অবনয়ন মোকাবিলার বিষয়ে নিবিড় গবেষণার সাথে খরাসহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন করা প্রয়োজন। 

চলতি সপ্তাহে ‘ইপিআই’ (যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পরিবেশ সুরক্ষা এজেন্সি), প্রকাশিত বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব পরিবেশ সুরক্ষা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৭।

পরিবেশ সুরক্ষার ৪০টি বিষয়কে মানদণ্ড ঠিক করে ইপিআই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বায়ুর মান, জ্বালানি ও জলবায়ু, বায়ু দূষণ, পানিসম্পদ, ভারী ধাতু বা হেভি মেটাল, জীববৈচিত্র্য ও তাদের বসতি এলাকা, বনভূমি, মৎস্যসম্পদ ও কৃষি খাত। এর মধ্যে কৃষি ও মৎস্যসম্পদে বাংলাদেশের অবস্থা বেশ ভালো। বাকিগুলোতে অবস্থা নিচের সারিতে। ইপিআইয়ের ২০১৮ সালের তালিকায় বাংলাদেশ ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭৯তম।

২০২১ ও ২০২২ সালে বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা একিউআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বায়ুর মান বিশ্বে সবচেয়ে খারাপ। আর রাজধানী শহরগুলোর মধ্যে সবার নিচে দিল্লির পরে ঢাকার অবস্থান।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বসবাস যোগ্যতার মাপকাঠিতে তৈরি প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্বের প্রধান প্রধান শহরের মধ্যে নিচের দিকে ছিল। ২০২১ সালে ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকা ছিল ১৩৭তম। বায়ুদূষণে ঢাকার নাজুক অবস্থার পর যে খবর নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে, তা হলো শব্দ দূষণে এই শহর বিশ্বের শীর্ষ স্থানে থাকা। 

রাজধানীতে নদী দূষণে ৬০ ভাগ দায় শিল্প কারখানার। কারখানার বর্জ্য সরাসরি নদীতে পড়ায় পানি দূষণ বাড়ছে। সেই সাথে দখল হচ্ছে নদী, বদলে যাচ্ছে নদীর গতি প্রকৃতি।

বাংলাদেশে পানি দূষণ বাড়ছে। দেশের শিল্প-কারখানা বেষ্টিত অঞ্চলগুলোতে নদ-নদীর পানি এতটাই দূষিত যে এতে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন। রাজধানীতে নদী দূষণে ৬০ ভাগ দায় শিল্প কারখানার। কারখানার বর্জ্য সরাসরি নদীতে পড়ায় পানি দূষণ বাড়ছে। সেই সাথে দখল হচ্ছে নদী, বদলে যাচ্ছে নদীর গতি প্রকৃতি।

পরিবেশ দূষণের প্রভাব পড়ছে ভূগর্ভস্থ পানিতে, মানবসহ প্রাণীর স্বাস্থ্যে। এক্ষেত্রে জেল-জরিমানার বিধান থাকলেও সঠিকভাবে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। তাই কারখানাগুলোতে ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) বসানোতে প্রণোদনা দেওয়ার পাশাপাশি আইন অমান্যকারীদের যথাযথ শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। 

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে সপ্তম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। এই হারে তাপ বৃদ্ধি পেতে থাকলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৭ ভাগ জমি চলে যাবে সমুদ্রের লবণাক্ত পানির নিচে। সেখানে এমনিতেই জীবনধারণ ঝুঁকিপূর্ণ, রয়েছে সুপেয় পানির দুষ্প্রাপ্যতা।

আমাদের দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোয় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কারণে মানুষ বাড়ি-ঘর ছাড়া হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ এসব এলাকা থেকে ঢাকায় আসছেন। তাদের জন্য বসবাস, পয়োনিষ্কাশন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। এই বাড়তি মানুষের চাপে রাজধানীর পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে।

কক্সবাজারের উখিয়ায় বসতি গড়ে তুলতে নির্বিচারে পাহাড় কাটছে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা। নির্বিচারে বন ও পাহাড় কাটার ফলে এই অঞ্চলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। এই কারণে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন তারা।

বাজেট বক্তৃতার অষ্টম অধ্যায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক অনেক প্রসঙ্গই গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের বাজেটে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেকগুলো বিষয়ের সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এসব বিষয়ে বাস্তব পরিকল্পনা বা আর্থিক বরাদ্দও আমরা লক্ষ করিনি।

টেকসই উন্নয়নের ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার প্রায় প্রত্যেকটির সাথেই পরিবেশ সম্পর্কিত বিষয় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত। সরকার এগুলো অর্জনের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু আমরা নিঃসন্দেহে অনেক পিছিয়ে আছি। বাজেটে পরিবেশ ও মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের বিষয় উপেক্ষিত বলেই আমাদের কাছে মনে হয়েছে। 

২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য গত বছরের চেয়ে ৬৩৭ কোটি টাকা বেশি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ছিল ৭ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা, আর ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ৯ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, টেকসই উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ এবং সেই অনুযায়ী প্রকল্প তৈরি ও যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমাদের বিচার-বিশ্লেষণ ক্ষমতার অভাব ও চিন্তা-ভাবনার দৈন্যতাও আছে। এটা সবচেয়ে স্পষ্ট হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প তৈরি ও বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবহারের বিষয় থেকে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে সপ্তম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। এই হারে তাপ বৃদ্ধি পেতে থাকলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৭ ভাগ জমি চলে যাবে সমুদ্রের লবণাক্ত পানির নিচে।

স্বাভাবিকভাবেই প্রকল্পগুলোর পরিকল্পিত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে উপযুক্ত স্থানে দক্ষ জনবলের প্রয়োজনীয়তাও স্পষ্টভাবেই সবার সামনে এসেছে। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের সাথে মিলিত না হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কখনোই টিকবে না। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাজেটে সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন। বরাদ্দের বিবেচনার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্ব বেশি দেওয়া প্রয়োজন। 

পরিবেশ খাতের উন্নয়নের অন্যতম শর্তই হচ্ছে পর্যাপ্ত গবেষণাগার। যার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা যাবে এবং ওই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হলেও বিশ্বজুড়ে প্রতিবেশ বিনষ্ট এবং বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের বিলুপ্তির মূলে রয়েছে মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ড। জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের সংকল্প বাস্তবায়নে মানুষের ভূমিকা রাখতে হবে। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমান প্রজন্মের প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। জলাভূমি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে উন্নয়নের নামে শুধু কিছু অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এখনো সময় আছে, পরিবেশ ধ্বংস না করে সুরক্ষার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

বায়ু, শব্দ, মাটি, নদী, সাগর দূষণ রোধ বা পরিবেশ সুরক্ষার বিষয় অনুধাবনে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। এই ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ার শর্টকাট কোনো উপায় এখন নেই। এটি শিরায় উপশিরায় ঢুকে পড়েছে। পরিবেশ সুরক্ষার যে পরিকল্পনা করা হয় তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দেয়। তদারকিতে গাফলতি লক্ষ করা যায়। 

আমাদের গ্রহের সম্পদ এবং ইকোসিস্টেমকে টেকসইভাবে পরিচালনা এবং এর গুরুত্ব বুঝতে হবে। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে মানবজীবনের সমৃদ্ধি লুকিয়ে আছে প্রাকৃতিক ব্যবস্থার উপর। পরিবেশের দূষণ, বিষাক্ত বর্জ্য নির্গমন, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ক্যানসার সৃষ্টিকারী জীবাণুসহ সকল প্রতিকূলতা রোধ করে, প্রকৃতির সাথে মানুষের সুসম্পর্ক স্থাপন করে দারুণ এক পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই আমরা। 

আমাদের প্রথমেই মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। পরিবেশ দূষণ রোধ করতেই হবে। এই নীতিতে অটল থেকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশ সংরক্ষণ সমন্বিত কর্ম কৌশল ও সবুজ টেকসই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। আমাদের সচেতনতামূলক প্রচারণা বাড়িয়ে দূষণ কিছুটা হলেও কমাতে হবে।

শুধু আইন করলেই হবে না, পরিবেশ সুরক্ষায় নাগরিক সচেতনতাও জরুরি। দেশের প্রতিটি মানুষকে জানাতে হবে, কী হচ্ছে? আর এর ফলে নিজেরা কীভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি। এজন্য দেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে সবার আগে। আসুন আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেতনতা ও পদক্ষেপকে উৎসাহিত করি। সবাই মিলে চেষ্টা করলে পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী রাখা সম্ভব।

ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ ।। গবেষক ও অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
khasru73@juniv.edu